রাজওয়ার জন্ম ১৯৯৪ সালের ২৮ এপ্রিল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। তাঁর বাবা সৌদি ব্যবসায়ী খালিদ আল সাইফ। ফয়সাল, নায়েফ ও ডানা নামে রাজওয়ার বড় আরও তিন ভাই–বোন আছেনরাজওয়ার পরিবার সৌদি আরবের আদি অধিবাসীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মা আজ্জা আল সুদাইরিও অভিজাত সুদাইরি পরিবারের সন্তান। সৌদি আরবের আল সুদাইরি পরিবার ‘সুদাইরি সেভেন’ নামেও পরিচিত। সৌদি রাজা আবদুল আজিজ ও হুসসা দম্পতির সাত রাজপুত্রের বংশধরেরা এই নামে পরিচিত। সে হিসেবে রাজওয়ার মা আজ্জা বাদশাহ সালমানের ফার্স্ট কাজিনসৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে এই বিয়ের কারণেই আলাদা সম্পর্ক স্থাপিত হবেযুক্তরাষ্ট্রের সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে স্থাপত্যে পড়াশোনা শেষ করেন রাজওয়া। পরে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ফ্যাশন ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং থেকে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন বিষয়ে ডাবল এ (অ্যাসোসিয়েট অব আর্টস) লাভ করেনপড়াশোনা শেষ করে রাজওয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের স্থাপত্য ফার্ম পি-এ-টি-টি-ই-আর-এন-এসে যোগ দেন। সেখানে কিছুদিন কাজের পর নিজের জন্মস্থান রিয়াদে ফিরে ডিজাইন ল্যাব এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন স্টুডিও নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন২০২২ সালের আগস্টে হুসেইন-রাজওয়ার বাগ্দানের ঘোষণা আসে। রিয়াদে রাজওয়ার বাড়িতে তাঁদের বাগ্দান অনুষ্ঠান হয়বাগ্দানের পর থেকেই জর্ডানের রাজপরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে রাজওয়াকে। গত মার্চে হুসেইনের বোন ইমানের বিয়ের অনুষ্ঠানেও দারুণভাবে নজর কাড়েন রাজওয়াফ্যাশন–দুনিয়ায় নিজের আলাদা আইডেন্টিটি তৈরি করা জর্ডানের রানি রানিয়া এ বিয়ে নিয়ে বলেন, ‘ছেলে যেদিন এসে আমাদের জানায় যে সে রাজওয়াকে বিয়ে করতে চায়, আমরা (বাদশাহ ও আমি) আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। জুটি হিসেবে তারা চমৎকার।’অশ্বারোহী হিসেবেও দক্ষ এই রাজবধূ। বাগ্দানের পর যুবরাজ হুসেইন রাজওয়ার জন্মদিনে একটি ছবি পোস্ট করেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। যেখানে রাজওয়াকে দেখা যায় ঘোড়া চালাতে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে রাজওয়াকে ঘোড়া নিয়ে ছুটতে দেখা গেছেরাজওয়া ছবি আঁকতেও ভালোবাসেন। সেই সঙ্গে নানা রকম হস্তশিল্প তৈরিতে পারদর্শীতিনটি ভাষায় বিশেষভাবে দক্ষ রাজওয়া। এর মধ্যে আরবি ছাড়াও আছে ইংরেজি ও ফরাসিবিয়ের পর থেকে রাজওয়া নতুন টাইটেল পেয়েছেন। তিনি এখন অফিশিয়ালি ‘হার রয়েল হাইনেস প্রিন্সেস রাজওয়া আল হুসেইন’তথ্যসূত্র: টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি ম্যাগাজিন ও আরব নিউজ