অভিনেত্রী শম্পা রেজা জানালেন, ‘নকশা’র প্রথম সংখ্যার মডেল হওয়ার অভিজ্ঞতা

প্রথম ‘নকশা’র প্রচ্ছদে মডেল হয়েছিলেন অভিনেত্রী শম্পা রেজা। সেটা ১৯৯৮ সালের কথা। ২৫ বছর ধরে ‘নকশা’র সঙ্গে তাঁর পথচলার গল্প, জানালেন সামনে ‘নকশা’র কাছে কী প্রত্যাশা।

১৯৯৮ সালের প্রথম ‘নকশা’র প্রচ্ছদে মডেল হয়েছিলেন অভিনেত্রী শম্পা রেজা, ২৫ বছর পর আবার এলেন নকশার প্রচ্ছদে। পোশাক : মানাস
ছবি : কবির হোসেন

১৯৯৮ সাল। মাত্র ঢাকায় থাকতে শুরু করেছি। অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করল, প্রথম আলোর একটা ট্যাবলয়েড বের হবে, নাম ‘নকশা’। সেখানে ‘বাচ্চা’দের সঙ্গে আমাকে কাজ করতে হবে। মডেলিংটা তখনো খুব একটা সহজভাবে গ্রহণ করতাম না। নাক উঁচু ভাব ছিল। গানের মানুষ ছিলাম। তাজিন অনুরোধ করল অনেক, বাচ্চাদের সঙ্গে জিনসের প্যান্ট পরে শুট করার জন্য। গরম পোশাক পরে ফয়সালের সঙ্গে শুট করেছিলাম। তখন নিজেদের পোশাক নিজেদেরই আনতে হতো। আমি জিনস আর টপ পরে এসেছিলাম।

‘নকশা’র কাছে অভিনেত্রী শম্পা রেজার চাওয়া—আন্তর্জাতিক স্টাইলে ‘বালাদেশি ভাব আনো, বাংলাদেশের পোশাক আরও আসুক, গয়না আসুক’।পোশাক : মানাস

পনিরের কথা মনে আছে। অন্যদের কথা সেভাবে মনে নেই। প্রথম আলোর ভবনটিতে তখন কাজ চলছিল। ওখানে শুট হয়েছিল। চারপাশে ইট, পাথর। আবছা আবছা মনে পড়ে। কোনো মেকআপ আর্টিস্ট ছিল না, কোনো হেয়ার স্টাইলিস্ট ছিল না। মেকআপ বলতে শুধু লিপস্টিক আর চোখে কাজল দেওয়া হয়েছিল।

‘নকশা’ অনেক ভালো কাজ করেছে। ‘নকশা’র কাছে আমার চাওয়া—আন্তর্জাতিক স্টাইলে বাংলাদেশি ভাব আনো, বাংলাদেশের পোশাক আরও আসুক, গয়না আসুক। বাংলাদেশকে আরও ফুটিয়ে তোলা হোক। আমাদের যে লুক আছে, সেটাকে বলিষ্ঠতার সঙ্গে তুলে ধরুক ‘নকশা’।

যাঁরা ভালো কাজ করছেন, তাঁদের পাশে যেন নকশা থাকে।পোশাক : মানাস

আমি পৃথিবীতে বয়স দিয়ে কাউকে বিচার করি না। মনের মিলের জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রজন্মকে খুব বেশি করে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আধুনিকতা শেখাতে চাই। আধুনিক ভাবনা নিয়ে পৃথিবীতে চলবে বলেই বাংলাদেশ জন্মেছিল। দৃঢ় পথে নতুন প্রজন্ম যেন আবার সেটা শুরু করে।

নকশার প্রথম প্রচ্ছদ

এদের এক্সপোজার অনেক বেশি। আমাদের সময় আমরা এত এক্সপোজার পাইনি। আজকে সারা পৃথিবীতে আমাদের সন্তানেরা কত ভালো কাজ করছে। এ জায়গাটিতে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর এই কাজে তাদের সহায়ক হবে ‘নকশা’।