কাপড়জুড়ে জরি, পুঁতি কিংবা সুতার রঙিন সেলাই। সেই কাপড় দিয়েই তৈরি করা হয় পায়ের জন্য আরামদায়ক জুতা। একসময় রাজা-মহারাজা আর তাঁদের রানিদের পায়ে শোভা পেত এ ধরনের জুতা। প্রথম দিকে ভারত থেকে আমদানি করলেও বেশ অনেক সময় ধরে দেশেই তৈরি হচ্ছে নাগরা জুতা। পায়ের আঙুল ঢাকা, ওজনে হালকা এবং আরামদায়ক এই জুতাকে কেউ কেউ আবার ডাকেন ‘জুত্তি’। গতানুগতিক চামড়া কিংবা প্লাস্টিকের জুতা পরতে পরতে একঘেয়েমি এলে বেছে নিতে পারেন রঙিন নাগরা জুতা। তাৎক্ষণিক এক জোড়া নাগরা চাই তো চলে যেতে পারেন রাজধানীর চাঁদনী চকে। মার্কেটের সামনেই সারি সারি জুতার দোকান। ক্রেতাদের জন্য সাজিয়ে রাখা বাহারি নকশার নাগরাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়বে নাগরার ওপর ঘন পুঁতির কারুকাজ। হালকা কিংবা ভারী কাজ, যেকোনো পছন্দসই নাগরা পেয়ে যাবেন সহজেই। যেমনটিই নিন, দাম পড়বে ৫০০ টাকার মধ্যে।
আর নিউমার্কেটের ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়তে না চাইলে চলে যান ধানমন্ডি এলাকার মেট্রো শপিং মলে। সেখানকার নাগরা জুতার সংগ্রহও মন্দ নয়। তবে দাম একটু চড়া। ৬০০ থেকে ৭০০, এমনকি ১ হাজার টাকাও দাম হাঁকেন বিক্রেতারা। দামাদামি করলে হয়তো কিছুটা কমে কিনতে পারবেন। ঘরোয়া কিংবা জমজমাট হলুদের আয়োজনে কনের পায়ে এক জোড়া হলুদ রঙের নাগরা মানিয়ে যাবে হলুদ শাড়ি আর সাজের সঙ্গে। লাল টুকটুকে নাগরায় জমকালো জরি-পুঁতি আর পাথরের কারুকাজ।
বনানীর যাত্রায় নাগরা জুতার সংগ্রহ একটু অন্য রকম কিন্তু অনেকটাই নান্দনিক। দাম শুরু আড়াই হাজার টাকায়।
রিকশাচিত্রের নাগরাগুলোয় নেই কোনো জরি-পুঁতির কাজ। তা–ও দেখতে যে কী রঙিন আর উজ্জ্বল! জামদানি যদি হয় আপনার প্রিয়, তাহলে তো কথাই নেই। যাত্রায় পেয়ে যাবেন চোখধাঁধানো জামদানির নাগরা। জরি সুতা দিয়ে ‘বউ বউ বউ বউ’ লেখা নাগরাগুলো যেন শুধু নতুন বউদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
খুব সাধারণের মধ্যেই যাঁরা অসাধারণ কাজ খোঁজেন, তাঁদের জন্য আছে অতিরিক্ত কাজহীন কাপড়ের নাগরা। পছন্দসই কাপড়ের ছাপ দেখেই কিনতে পারবেন নিজের নাগরা জোড়া।