দেশেই সারুন বিয়ের কেনাকাটা

দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতকাল মানেই বিয়ের মৌসুম। একটু অন্য রকম বা ডিজাইনের পোশাক সংগ্রহের জন্য বিয়ের বাজার করতে পাশের দেশে ছুটে যান ক্রেতারা। বিয়ের কেনাকাটা যাতে দেশেই সারতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ ওয়েডিং কুটর উইক ২০২২।

হলুদে প্রাধান্য পেয়েছে হলুদ–সবুজের নানা শেড
ছবি: সংগৃহীত

এ আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ও যুরহেম ব্র্যান্ডের চেয়ারপারসন সাদাত চৌধুরী বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই দেখছি, যখনই পরিবারে কোনো বিয়ের সময় আসে, পুরো পরিবার অন্য কোনো দেশে গিয়ে বিয়ের কেনাকাটা করে। এত বড় মার্কেট আমাদের, অথচ বিয়ের পুরো শপিং করা হচ্ছে অন্য দেশ থেকে।’

হলুদে গোলাপীও বেমানান নয়

সাদাত চৌধুরী মনে করেন, আমাদের দেশের ডিজাইন, কাপড় কিংবা গুণগত মানে ঘাটতি থাকায় মানুষ অন্য জায়গায় ছুটছে। এই ব্যাপারগুলো ঠিক রেখে কাজ করতে পারলে দেশি পোশাকের প্রতি ভোক্তাদের আস্থা ফিরে আসবে।

হলুদে দারুণ মানাবে সবুজ

এই ফ্যাশন শোতে মোট তিনটি পোশাকের ব্র্যান্ড তাদের পোশাক প্রদর্শন করে। সেগুলো হলো সারা করিম কুটর, যুরহেম ও সারা রহমান। বর-কনের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের জন্যও ছিল পোশাক। তিন দিনের এই ফ্যাশন শোতে প্রদর্শিত হয় বিয়ের তিনটি অনুষ্ঠানের পরিধেয়—হলুদ, বিয়ে ও রিসেপশন। এর মধ্যে হলুদের প্রাধান্য পেয়েছে হলুদ রং।

গায়ে হলুদে পুরুষের পোশাকের সংগ্রহ

সারা করিম কুটর হলুদের কাপড়ে হালকা আর প্যাস্টেল রংগুলোকে প্রাধান্য দিয়েছে। কাপড় হিসেবে বেছে নিয়েছে মসলিন। কাজ করেছে গোটা পাতি ও গ্লাসের। হলুদে ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে যুরহেমের ডিজাইনার মেহরুজ মনির বেছে নিয়েছেন হলুদ, সবুজ ও হালকা গোলাপি রংকে।

শাড়ি হোক, লেহেঙ্গা বা গাউন— বিয়েতে লাল, মেরুন বা খয়েরির মতো জমকালো রংয়ের বিকল্প নেই

বিয়ের পোশাকের সংগ্রহে লাল ও কমলার পাশাপাশি গোলাপি, প্যাস্টেল, সবুজ, নীল রংকেও খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পোশাকগুলোয় ঐতিহ্যের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়া আছে।

ডিজাইনার সারা করিমের সঙ্গে বৌয়ের বেশে মডেলরা

বাংলাদেশের বিয়েতে সাধারণত কনের সাজপোশাক নিয়েই বেশি মাথা ঘামান সবাই। যুরহেম এ ধারণা থেকে সরে এসে বরদের জন্য নিয়ে এসেছে নতুনত্ব। হলুদের জন্য আছে পাঞ্জাবি, কটি-পাঞ্জাবি সেট, বিয়ের জন্য শেরওয়ানি আর রিসেপশনের জন্য স্যুট।

বৌয়ের পোশাকে বড় ওড়না বা ভেল চাই–ই চাই

এই ইভেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ছেলেদের বিয়ের পোশাক প্রদর্শনী। সঙ্গে ছিল তাঁদের গয়না ও মেকআপের ভিন্নতাও। কিছু কিছু লুকে পুরুষকেও একটু গাঢ় মেকআপে সাজিয়েছে তারা। পরিয়েছে কালো আর সোনালির সমাহার।

রিসেপশনের পোশাকের সংগ্রহ প্রদর্শনী শেষে

সাদা, হালকা গোলাপি, নীল আর সবুজের শেডগুলোও ছিল ছেলেদের পোশাকের প্যালেটে।

লালের নানা শেডে মডেলরা

গয়নার কাজ করেছে মোহাম্মদ অ্যান্ড সন্স এবং জারওয়া হাউস। গয়নার মধ্যেও ছিল আভিজাত্য আর আধুনিকতার মিশেল।

রিসেপশনের পোশাকের সংগ্রহ

ব্যবহার করা হয়েছে সোনার গয়না, রুবি, মুক্তা, জেড। ভারী গয়নার পাশাপাশি ছিল ছিমছাম হালকা গয়নাও। গলার নেকপিস, কানের দুলের পাশাপাশি ছিল মাথায় পরার বিভিন্ন গয়নাও।

রিসেপশনে প্রাধান্য পেয়েছে হালকা রং