ফ্যাশন আর চলচ্চিত্রের জন্য অস্কারের মঞ্চ-ই শেষ কথা। অস্কারের মঞ্চে সবচেয়ে পাগলাটে ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৪ সালে, ৪৬তম অস্কার মঞ্চে। সেবার রবার্ট ওপেল নামের এক আলোকচিত্রী নগ্ন হয়ে অস্কারের মঞ্চ দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। এবারের অস্কার ছিল সেই ঘটনার-ই অর্ধশত বছর পূর্তি! জনপ্রিয় উপস্থাপক জিমি কিমেল যখন জানালেন, এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তখন মঞ্চের পেছনে দেখা গেল রেসলার থেকে হলিউড তারকা বনে যাওয়া ৪৬ বছর বয়সী জন সিনা পেছন থেকে উঁকি দিচ্ছেন।
জন সিনা বললেন, ‘আমার এখন নগ্ন হয়ে মঞ্চে যেতে ইচ্ছা করছে না। আমি মন পরিবর্তন করেছি।’ মূলত হাসি-ঠাট্টার জন্যই এই আয়োজন। সেটিই মনে করে দিয়ে জিমি বলেন, ‘কিন্তু তোমাকে তো হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করার কথা।’ জন সিনা তখন বলেন, ‘পুরুষের শরীর হাসির বিষয় না।’ তখন জিমি বলেন, ‘মাইন ইজ’ (আমারটা হাসির বিষয়)।
এরপর জন সিনা জিমি কিমেলের হাত থেকে ‘সেরা পোশাক ডিজাইনার’ লেখা খামটি নেন। খামটি নিয়ে তিনি লজ্জাস্থান ঢাকেন। তারপর মঞ্চে এসে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সত্যি কথা বলতে কি পোশাক (এই আয়োজনে) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ অথচ তাঁর শরীরে কোনো পোশাকই ছিল না। এই বৈপরীত্য ব্যাপক হাসির খোরাক দেয়। মূলত কস্টিউম ডিজাইনারের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্যই নগ্ন হয়ে মঞ্চে ওঠেন তিনি। পায়ে অবশ্য প্যাস্টেল বাদামি রঙের স্যান্ডেল ছিল।
যখন মঞ্চের আলো কমিয়ে সেরা কস্টিউম ডিজাইনারের মনোনয়ন দেখানো হচ্ছিল, তখন জন সিনার সহকারীরা নীরবে আসেন। আর জন সিনাকে হালকা বাদামিরঙা গাউন পরিয়ে দেন।
চড়-কাণ্ডের পর এবার জন সিনার ‘জন্মদিনের পোশাকে’ মঞ্চে হাজির হওয়া রীতিমতো ভাইরাল। ইউটিউবে সেই ভিডিওর নিচে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। লেখা হয়েছে, ‘খুবই হাস্যকর’। ‘এভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য সাহস লাগে। জন সিনা, আপনি সেরা।’ একজন লিখেছেন, ‘সোশ্যাল অ্যাংজাইটি জন সিনাকে দেখে পালাবে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘দিন দিন অস্কার ফালতু হয়ে যাচ্ছে!’ অবশ্য এ ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া আর বিতর্কের মাধ্যমে অস্কারের এই মুহূর্ত ভাইরাল করাই ছিল এই আয়োজনের মুখ্য উদ্দেশ্য। সেটাতে আয়োজকেরা সফল।
এদিকে সেরা অভিনেত্রী (এমা স্টোন), সেরা মেকআপ ও হেয়ার, সেরা প্রোডাকশন ডিজাইনের সঙ্গে সেরা কস্টিউমের পুরস্কারও জিতে নিয়েছে ‘পুওর থিংস’!