মুক্তার গোলাপি পোশাক আর পারসোনার মেকআপে নজর কাড়েন ইভান সোহাগ

‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩’-এর লালগালিচায় আলো ছড়িয়েছেন নৃত্যশিল্পী ইভান সোহাগ। লালগালিচায় পুরুষদের মধ্যে তাঁর বেবি পিঙ্করঙা বার্বিকোর প্যান্ট-স্যুট আলাদা করে নজর কেড়েছিল। পোশাকের রঙ, নকশা, গয়না, মেকআপ থেকে শুরু করে পায়ের হাই হিল-বুট— লালগালিচায় নিজের ফ্যাশন দিয়ে ‘ম্যানলি ড্রেসিং’—এর প্রথাগত সমস্ত ‘ড্রেস কোড’ ভেঙেছেন তিনি। মুক্তার আলোয় জ্বলজ্বল করছিলেন দেশের জনপ্রিয় এই নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য নির্দেশক। ছবিতে ছবিতে বিস্তারিত জানা যাক।

প্রথম দেখায় মনে হতে পারে গোলাপি ব্লেজার আর মুক্তার মালায় হাজির হয়েছেন তিনি। কিন্তু একটু নজর দিতেই বোঝা গেল, পোশাকজুড়েই আছে মুক্তার কারুকাজ
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
পোশাকটি নকশা করেছেন, কাস্টমাইজড করে তৈরি করেছেন ‘নিকাহ বাই কিবরিয়া রাতুল’ এর সত্ত্বাধিকারী। ইভান সোহাগের পায়ে ছিল সাদা বুট। হিল-বুটটি দেশের বাইরে থেকে আনার পর ফ্যাশন ডিজাইনারের মাধ্যমে ইভান সোহাগের জন্য বিশেষভাবে কাস্টমাইজড করা হয়েছে।
সামনে থেকে সাধারণ একটি ব্লেজার বলে মনে হলেও পিঠজুড়েই ছিল মুক্তা। আন্তর্জাতিকভাবেই এখন পোশাকে মুক্তা জুড়ে দেওয়াটা ট্রেন্ড। বার্বিকোর এই পোশাকের পিঠের অনেকটা অংশে আড়াআড়িভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ২৩টি মুক্তার মালা
লালগালিচায় ইভান তাঁর পোশাক নিয়ে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমার মুক্তার কাজ করা একটি পোশাক পরার ইচ্ছা। তবে আমি চেয়েছিলাম মুক্তাগুলো যাতে সবার চোখে পড়ে। সাত রাত জেগে ওরা এই ড্রেস তৈরি করেছে। ঠিক যেমন চেয়েছিলাম, তেমনটাই করতে পেরেছে।’
গলায়ও পরেছিলেন তুলনামূলকভাবে বড় মুক্তার মালা। বার্বিকোর এই মনোক্রোমিক ব্লেজার আর প্যান্টটির ইউএসপি (ইউনিক সেলিং পয়েন্ট) পেছনে পিঠ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত মুক্তার মালার কাজ।
পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে ইভান সোহাগ সেজেছেন ‘পারসোনা’ থেকে। ছবিতে সাবিলা নূরের সঙ্গে
ছবিতে তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে ইভান সোহাগ