২০২৩ সালের জীবনযাপনে দেখা গেছে নানা ধারা। পোশাক নিয়ে করা হয়েছে পরীক্ষা–নিরীক্ষা। করোনার পরপরই ২০২৩ সালে দেখা গেছে ফ্যাশনের এক অন্য রকম রূপ।
অস্বীকারের জো নেই ফ্যাশন ট্রেন্ড সত্যিকারেই ডিজাইনার, ভোক্তা আর ফ্যাশনিস্তাদের পরম আকাঙ্ক্ষার বিষয়। চলতি ধারা নিয়ে বিস্তর আলোচনা আর কাটাছেঁড়া হয়। কোনো চল প্রচলিত হলে তা নিয়েই আমরা মেতে উঠি। আবার সেটা চলে গেলেও কথা চালিয়ে যাই। বছর শেষ হলে লেগে পড়ি সুরতহালে। সবে আমরা পাতা মুড়েছি তেইশের। ভালো আর মন্দে মেশানো বছরটাকে এত তাড়াতাড়ি ভোলা যাচ্ছে না। এই প্রয়াস তাই ঐতিহ্য মেনে ফিরে দেখার।
ফ্যাশনেই বলি আর যাপনে, প্রকৃতপক্ষে আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি অতিমারির অপ্রীতিকর পরিণাম। যদিও করোনার নতুন নতুন ধরন মাথা তুললেও ততটা মারাত্মক হতে পারছে না।
এরই মধ্যে খাঁড়ার ঘা তো আছেই। আরও একটা বছর দীর্ঘায়িত হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর মধ্যে গাজা আক্রমণ করে বসল ইসরায়েল। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি মাথা চাড়া দিয়ে ঘনীভূত করল অর্থনৈতিক সংকট। সঙ্গে থাকল নতুন উপদ্রব জলবায়ু পরিবর্তন। এই জটিল আর মিশ্র পরিস্থিতিতে মানুষকে হতে হলো অতীতাশ্রয়ী। স্মৃতির পরশ মাখা স্বাধীন যাপনের ইচ্ছা মেলল পাখা। অবিকল অনুরণন শুনি ফ্যাশন মনোবিদ ডন ক্যারেনের উচ্চারণেও: সব রাজনৈতিক ও সমাজতাত্ত্বিক জটিলতা আমাদের অতীতমুখী করছে। ফিরতে চাইছি ফেলে আসা সময়ে। চাইছি প্রকৃতির আশ্রয়। তাই তো আমরা আগের যেকোনো দশকে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। হতে পারে এর মধ্য দিয়ে আমাদের পলায়নপর মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে, তবে সেটা নেতিবাচক নয়; বরং ইতিবাচকই।
সদ্য অতীত বছরটার দিকে তাকালে এই ছবিও স্পষ্ট হয়। আচ্ছা বলতে পারেন কত বছর আগে আমরা ব্যাগি প্যান্ট পরেছি? কেবল এটা নয়, আরও আছে। এই যেমন কার্গো প্যান্ট, বুট কাট জিনস, ম্যাক্সি স্কার্ট, হাওয়াই শার্ট কিংবা ম্যান্ডারিন কলারের শার্ট? বেশ আগে।
একটা সময় ছিল যখন আমরা বাবার শার্ট পরে একটু বড় সাজার চেষ্টা করতাম। অতিরিক্ত বড় আকারের সেই শার্ট আমাদের ভেতরে চারিয়ে দিত অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস। তেইশে কিন্তু এগুলো সবই দেখেছি। সেই নব্বই দশকের ব্যাগি জিনস, কার্গো প্যান্ট কিংবা আশির অতিরিক্ত বড় আকারের পোশাক। তবে এখন পরছে নারী-পুরুষনির্বিশেষে। গেল বছরে বাদ যায়নি ছেলেদের বুট কাট ও স্ট্রেট কাট জিনসও।
এখানে একটু বলে রাখা ভালো, তেইশে মেয়েদের মধ্যে পুরুষালি ফ্যাশনের প্রতি ঝোঁক ছিল কম। পক্ষান্তরে তারা চেয়েছে নারীত্বের উদ্যাপন। ম্যাক্সি স্কার্ট ও ড্রেস ছিল ট্রেন্ডিং। আরও ছিল বো, রাফেলস আর করসেট (কাঁচুলি)। তবে এসবের ব্যবহারে পোশাকে যৌন আবেদন তৈরি বৃথা চেষ্টা থেকে বিরত থেকে বরং নারীসুলভ করে তুলতে প্রয়াসী হয়েছেন ডিজাইনাররা।
সারা বছর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল বার্বিকোর। আবিশ্বের মোহিনীরা হয়ে উঠেছেন গোলাপি বেগম। এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে আরও একটি কোর—ব্যালেকোর। ব্যালে ফ্ল্যাটও সমান তালে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একদিকে যখন ব্যালে ফ্ল্যাটে মজেছে একদল, ওদিকে তখন মেরি জেন ফ্ল্যাটে মেতেছে অন্য দল। পাশাপাশি ট্যাবিস বা স্প্লিট-টো শুও ছিল কারও কারও কাছে কাঙ্ক্ষিত।
গোলাপি বেগমদের সমান্তরালে কম যান না গোলাপি নবাবরাও। গত বছরের আলোচিত দুটি বিষয় ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সৌদি আরবে গমন আর লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিতে যোগদান। রোনালদো ততটা মাতাতে পারেননি, যতটা পেরেছেন মেসি। কেবল মাঠে নয়, ফ্যাশনেও। তাঁর গোলাপি জার্সি ছিল সুপার ডুপার হিট ট্রেন্ড। এটা খ্যাতি পেয়েছে নন-বার্বি পিংক হিসেবে।
তেইশে তুঙ্গে ছিলেন টেলর সুইফট ও তাঁর এরাস টুর। ফ্রেন্ডশিপ ব্রেসলেট অতএব ট্রেন্ডে থাকবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনিও তাঁর ক্যারিয়ারের দীর্ঘ দুই দশকের নানা সময়ের ফ্যাশনকে উদ্যাপন করেছেন এই টুরে।
করোনাকালের বদ্ধ জীবন থেকে নয়া স্বাভাবিকতায় ফেরা জেনজি প্রজন্ম বাইশে ছিল অ্যাথলেজার আর আরামদায়ক পোশাকের বৃত্তে বন্দী। আড়ষ্টতা কাটিয়ে, গা ঝাড়া দিয়ে উঠে তেইশে তারাও একটু অতীতপ্রিয় হয়েছে। তাদের জন্যই জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভিনটেজ ফ্যাশন আর পপ সংস্কৃতি। আবার তাদের কল্যাণেই পুনরাবিষ্কৃত হয়েছে ওয়াইটুকে ট্রেন্ড।
মেয়েদের ফ্যাশনে লোরাইজ যেমন ছিল, ছিল হাই স্লিটও। তবে মজার বিষয় হলো ইনারওয়্যার বা অন্তর্বাস হিসেবে পরিধেয় বহির্বাস হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফ্যাশন শোর বাইরে ব্রিফ যতটা না দেখা গেছে, বক্সার বরঞ্চ অনেক বেশি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই ট্রেন্ডটা ফ্যাশনপ্রিয়দের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে বেশ। এ ছাড়া চুমকির ব্যবহারও এ বছর যথেষ্ট নজর কেড়েছে।
অনুষঙ্গের ট্রেন্ডে তালিকার শীর্ষে ছিল ক্যাটআই গ্লাস, ডিজে হেডফোন, টোট ব্যাগ, শট শোল্ডার ব্যাগ, কুইল্টেড ব্যাগ, স্পিডি ব্যাগ ইত্যাদি। ভিগান ফুডের মতো আগ্রহ বেড়েছে ভিগান লেদারের প্রতিও। আরও ছিল নাইকি শক্স। তবে ট্রেন্ডিং হয়েছে আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে স্নিকার বা রানিং শু।
গেল বছর ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়ার সমানে বেড়েছে ফ্যাশন পণ্য কেনার আগ্রহ। ফলে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের একটা উল্লেখযোগ্য রাজস্ব এসেছে এই খাত থেকে।
এ কথা অস্বীকারের অবকাশ নেই যে বিশ্বজুড়ে জেনজিরাই বদলে দিচ্ছে ফ্যাশনের সংজ্ঞা, পোশাকের পরিভাষা। মুছে দিচ্ছে পরিধেয়ে নারী-পুরুষের সীমানা। এটাও ফ্যাশনের নতুন ধারা বৈকি। এখন অনেক ব্র্যান্ডও এমন লিঙ্গ-নিরপেক্ষ পোশাক তৈরি ও বিক্রি করছে। ফলে এই ধারাও প্রতীয়মান হয়েছে তেইশে।
আন্তর্জাতিকভাবে উৎপাদন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, টেকসই ও প্রকৃতিবান্ধব বিষয়গুলোও ছিল সদ্য শেষ বছরের উল্লেখ করার মতো। এসব বাস্তবিকই ফ্যাশনের নতুন দিশা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এ জন্য ফ্যাশন ডিজাইনার আলতুজারার পুনরাবৃত্তিতে বলতে হয়, এখনই সময় নতুন দিশা অনুসরণের।
এবার দৃষ্টি ফেরানো যাক দেশের দিকে। আমাদের ফ্যাশনে ট্রেন্ড তৈরি হয় না। পশ্চিমানুসরণই বস্তুত আমাদের ট্রেন্ড। আর হ্যাঁ, বলিউডের কিছু আলোচনায় এলে সেটাও আমাদের এখানে ফ্যাশনে পরিণত হয়। ফেলে আসা তেইশে বলিউড তেমন ছাপ রাখতে সক্ষম হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের আলোচিত ধারাগুলোই আমাদের এখানে অনুসৃত হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য বার্বিকোর, ব্যাগি জিনস, কার্গো প্যান্ট, অতিরিক্ত বড় আকারের পোশাক ইত্যাদিই ছিল এ তালিকায়।
এরই মধ্যে ছিটেফোঁটা কিছু ছিল না, তেমন নয়; বরং কম কাজের পাঞ্জাবির প্রতি তরুণেরা আগ্রহী হয়েছেন। পালাজ্জোর সঙ্গে কুর্তার চলটাও চোখে পড়েছে। বিশেষ করে শাড়ির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ এবং শাড়িকে নতুন আঙ্গিকে পরার যে ধারা, সেটাও আশা জাগায়। শাড়ির সঙ্গে বুট কিংবা স্নিকার খুব নতুন নয়, কিন্তু শাড়ি পরার স্টাইল ছিল বেশ চিত্তাকর্ষক। চলতি ধারা হিসেবে ধরা যেতে পারে এগুলো।
পুরোনো কাপড় কেনা আর ওয়ার্ডরোব খালি করা গত বছর সচেতন তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছে। এমনকি তাঁদের মধ্যে পোশাক বিনিময়ের মতো উদ্যোগও দেখা গেছে। ফলে স্লো ফ্যাশনের পালে ধীরে হলেও বাতাস পাচ্ছে। এই প্রজন্ম আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই পুরোনো সব দিন। যখন আমরা এমন পোশাক কিনেছি। আমাদের প্রজন্মের তাই ভুলে যাওয়ার কথা নয় বঙ্গবাজার, নিক্সন মার্কেট ও সিঙ্গাপুর মার্কেটের কথা।
এখন সবাই আর আগের মতো সবকিছু যজ্ঞের ধনের মতো আগলে ইচ্ছুক নয়। তরুণেরা তো বটেই। এ জন্য অনেক দিন ধরে কেনা জিনিসপত্র বছরের একটা সময়ে ফেলে দেয়। সেখানে পোশাকও থাকে। ঢাকায়ও এই ধারা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ বছর এমন একাধিক মেলার কথা শোনা গেছে। এই জগৎটা আমাদের কাছে নতুন। কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের কাছে না। তারা জানে সবকিছুর হদিস।
এ বছর আমাদের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ম্যানেজমেন্টে বেশ পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। একাধিক প্রধান নির্বাহী হাউস ছেড়ে গেছেন। মার্কেটিংয়েও পরিবর্তন হয়েছে। সঙ্গীন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে একাধিক ব্র্যান্ড। দিশাহীন ব্র্যান্ডের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। আবার এই লিগে নতুনও যে যোগ হয়নি, তা–ও নয়। গেল বছর এসেছে ক্লদেন আর মাইক্লো। শেষের নামটা একটু চেনা চেনা মনে হতে পারে। হ্যাঁ, তা বটেই। তার আগে বলে নিই বাংলাদেশ থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে দুটি ব্র্যান্ড। ইউনিক্লো ও ডেকাথলন। কারণ, লালফিতার দৌরাত্ম্য ও অধিক শুল্ক। ইউনিক্লোর ক্ষেত্রে আরও ছিল তাদের সামাজিক ব্যবসার নিয়মনীতি পুরোপুরি অনুসৃত না হওয়া। এই ইউনিক্লোর কিছু প্রোপার্টি কিনে তাদের আউটলেটগুলোর কয়েকটি নিয়ে নতুন ব্র্যান্ড শুরু করেছে মাইক্লো। এ ছাড়া আত্মপ্রকাশ করেছে আরও দুটি নতুন ব্র্যান্ড। আমি ও কাঁঠাল। তবে তাদের অফলাইন উপস্থিতি এখনো দৃশ্যমান নয়।
সবগুলো ব্র্যান্ডই আবার এসেছে তৈরি পোশাক শিল্প খাত থেকে। মাইক্লোর নেপথ্যে আছে মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ। ক্লদেনের মূল প্রতিষ্ঠান ট্যাডেক্স গ্রুপ। আমি ও কাঁঠাল ইউটা গ্রুপের উদ্যোগ। বলা বাহুল্য নয় যে বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি পোশাক খাতের কুশীলবদের স্থানীয় ব্র্যান্ডের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।
সদ্য বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের মেধাবী ডিজাইনার রোকাইয়া আহমেদের ডিজাইন করা স্নিকার আন্তর্জাতিক বাজারে আনে ফ্রাঙ্কফুর্টভিত্তিক পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন ব্র্যান্ড দ্য ইকেএন। সীমিত সংস্করণের এই ভিগান স্নিকারের নামকরণ করা হয় দ্য ইকেএন কামথালা বা কাঁঠাল। এই স্নিকার তৈরি হয়েছে পর্তুগালে। বাংলাদেশ কেবল তৈরি করে না, নকশাও করে। সেই ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার এটা ছিল রোকাইয়ার একটা প্রয়াস। এ ছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্যারিস ও বার্লিনে দুটি ইভেন্ট আয়োজন করে। উভয় ইভেন্টেই ছিল ফ্যাশন শো। প্যারিসে ফ্যাশন ডিজাইনার সামি আলম ও বার্লিনে রোকাইয়া আহমেদ তাঁদের সংগ্রহ উপস্থাপন করেন। এরপরই প্যারিসে ইউনেসকোর ত্রয়োদশ যুব ফোরামে ইয়ুথ ডেলিগেট হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন রোকাইয়া আহমেদ। এ বছর কলকাতা ও লক্ষ্ণৌতে সম্মানিত হয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসী।
গত বছরের আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা উল্লেখের দাবি রাখে। বাংলাদেশের ফ্যাশন দিগন্তে হ্যাপেনিং জায়গা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আলোকি কনভেনশন সেন্টার। তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে অবস্থিত এই স্থাপনা এখন সবচেয়ে আলোচিত ভেন্যু। এক সময়ে এটা ছিল ইউটা গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা। তারপর বহুদিন পড়ে ছিল। সেটাকেই চমৎকার স্থাপত্যনকশায় বদলে ফেলা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে একটি সম্মিলন কেন্দ্র। সাধ্যের মধ্যে থাকা ভেন্যুর আকালের এই শহরে আলোকি হয়ে উঠেছে আলোকবর্তিকা। এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক। আলোকি কর্তৃপক্ষ আয়োজন করেছে ঢাকা মেকার্স। তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল আর্কা ফ্যাশন উইক। এরই অংশ হিসেবে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস সেলিব্রিটি বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্ব। এ ছাড়া বাংলাদেশ ওয়েডিং কতুর উইক যেমন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তেমনি মানাসের আয়োজনে ডিজাইনার ফায়জা আহমেদের আত্মবালা ২.০ দিয়েছে অন্যতর অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ফেসবুকভিত্তিক পপআপ স্টোর কেয়ার অব ঢাকার অফলাইন প্রদর্শনী অটাম ক্লাউডস। এর থিম ছিল আমার ঢাকা। বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পের বহু আলোচিত উদ্যোগ দেশি দশ। ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের এক ছাদের নিচে অভিন্ন ব্র্যান্ডিংয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। বসুন্ধরা শপিং মলের সপ্তম তলায়। কিন্তু সেখান থেকে তাদের সরে যেতে হয়েছে। নতুন বছরে দেশি দশকে পাওয়া যাবে চতুর্থ তলায়।
শেষে এসে শুরুর কথা বলি। বছরটা শুরু হয়েছিল বেদনামথিত ঘটনায়। আমরা হারিয়েছে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক রং নিয়ে আজীবন কাজ করে যাওয়া রুবি গজনবীকে।