এই সময়ের ঠোঁটের সাজ

প্রতিবছরই দু–তিন ধারার মেকআপের চল দেখা যায়। গরমে এক রকম, বর্ষায় আরেক; শীতও কম যায় না। আমাদের এখানে সাধারণত গরম ও শীতে সাজের ভিন্নতা বোঝা যায়। তবে কিছু ধারা আছে, যেটা চলে লম্বা একটা সময়। ঠোঁটের ওপর লিপলাইনারের ব্যবহার সে রকমই একটি ধারা। পাশাপাশি লিপস্টিকের জন্যও চলছে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারা। দুটি মিলিয়েই ঠোঁটকে সাজাতে পারবেন নানাভাবে।

লাল রঙের লিপস্টিক এ বছর আবার ফিরে এসেছে। পরিষ্কার ত্বকের ওপর লাল রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে নিলেই হলো। আর কিছু না করলেও চলবে। চাইলে ওপরে লিপগ্লসও লাগাতে পরেন। চলতি ধারায় লিপগ্লসের ব্যবহারও আছে। সামনে গাঢ় রঙের শেডের মধ্যে লাল, মেরুন, মভ ও বার্গেন্ডির ব্যবহার দেখা যাবে।

লিপস্টিকের রং হিসেবে লাল বেশ জনপ্রিয় এখন
চলছে হালকা রঙের লিপস্টিকের ধারাও

মজার বিষয় হচ্ছে, একদিকে যেমন গাঢ় আর উজ্জ্বল সব সাহসী রং দেখা যাবে, আরেক দিকে একদম ন্যুড বা বাদামি রঙের নানা শেডও থাকছে। অর্থাৎ লালের পাশাপাশি বাদামি রঙের শেডগুলোও এ বছর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যাঁরা কড়া রঙে স্বাচ্ছন্দ্য নন, তাঁদের জন্য আদর্শ বাদামি রঙের নানা শেড।

লিপলাইনার আবার ফেরত এসেছে। লিপস্টিকের রঙের চেয়ে লিপলাইনারের রং দুই শেড বেশি গাঢ় হবে। লিপলাইনারের ব্যবহার বলতে সাধারণত ঠোঁটের বাইরের দিকে দুই পাশে টানা গাঢ় লাইনটিকেই বোঝানো হয়। তবে চাইলে পুরো ঠোঁটেই বেজ হিসেবে লিপলাইনার লাগাতে পারেন। এরপর লিপলাইনারের ওপরে যখন লিপস্টিক লাগাবেন, পোক্তভাবে অনেকক্ষণ থাকবে ঠোঁটের ওপর।

লিপলাইনার ব্যবহার করে ভেতরে ভেতরে লিপগ্লস লাগানো
ওমব্রে স্টাইলে লাগানো লিপস্টিক

ওমব্রে লিপস্টিকের ধারাও চলছে। লিপলাইনার ও লিপস্টিকের রঙে চলে আসবে কিছুটা ভিন্নতা। ঠোঁটের ওপরে গ্লস লাগিয়ে বাইরে গাঢ় রঙের লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিতে পারেন।