সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ। এর ২৮তম সংস্করণ হিসেবে ১ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করল ‘ভোগ ফিলিপাইন’। প্রথম সংখ্যার প্রচ্ছদকন্যা হয়েছেন ফিলিপিনো–মার্কিন মডেল ক্লোয়ি ম্যাংগো। ফিলিপাইনের ঐতিহাসিক আর বিখ্যাত সব দ্বীপ লুজন, ভিসায়াস, মিন্ডানাও— ঘুরে ঘুরে হয়েছে ফটোশুট। বিশেষ আকর্ষণ ছিল পোশাক।
ফিলিপিনো–অস্ট্রেলিয়ান মডেল ক্যাটরিওনা গ্রে মডেলদের পোশাকের ভূয়সী প্রশংসা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। জানান, এর ভেতর কয়েকটি পোশাক প্লাস্টিক থেকে তৈরি হয়েছে। আর সেগুলো তৈরি করেছেন ফিলিপাইনের সেরা ফ্যাশন ডিজাইনাররা। পরিবেশবাদী হিসেবে খ্যাত ২০১৮ সালের এই মিস ইউনিভার্স লেখেন, ‘প্লাস্টিক কখনোই মাটিতে মেশে না। শেষ হয়ে যায় না। তাই আপনি এটা দিয়ে দারুণ কিছু তৈরি করতে পারেন, যেটা টেকসই। এই যেমন ভোগ ফিলিপাইনের অভিষেক প্রচ্ছদের ফটোশুটের পোশাক। ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে তৈরি হয়েছে ফটোশুটের একাধিক পোশাক।’
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভোগ ফিলিপাইনের সম্পাদক বলেন, ‘আমরা গতরাতে সবাই সংখ্যাটি হাতে নিয়ে একসঙ্গে ডিনার করেছি। আমাদের প্রথম সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত সবাই আর ফিলিপাইনের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত একঝাঁক প্রতিনিধিকে নিয়ে উদ্যাপন করেছি। খুবই আনন্দের একটা রাত ছিল। আমরা আড়াই বছর আগে একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। সেই স্বপ্ন আজ আমাদের হাতে। ফিলিপাইনের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য এটা একটা দুর্দান্ত ঘটনা। আমরা এর মাধ্যমে ফিলিপাইনের বৈচিত্র্যময় সব সংস্কৃতিকে উদ্যাপন করব। আমাদের নিজস্ব কাপড়, ফ্যাশন, স্টাইল, সংস্কৃতি, কারুশিল্প, উৎসব—এ সবকিছু উদ্যাপন করব। আমরা ৩৬০ ডিগ্রি একটা প্ল্যাটফর্ম। আমরা নিজেদের ফ্যাশন নিয়ে বিশ্বের প্রথম সারির ফ্যাশনের পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।’
ছবিগুলো তুলেছেন ব্রিটিশ–ফিলিপিনো–মিসরীয় আলোকচিত্রী শরীফ হামজা। ক্লোয়িকে স্টাইলিং করেছেন ফিলিপিনো স্টাইলিশ পাম কুইনওয়ান্স। যে গয়না আর অনুষঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো ফিলিপাইনের কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত।