চারপাশে ‘জেনারেশন জি’র জয়জয়কার! যুগে যুগে তারুণ্যের জয় হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাঁদের জন্ম, বর্তমানে যাঁদের বয়স ১২ থেকে ২৭, তাঁরাই জেনারেশন জি। এই প্রজন্মের তরুণদের একটা দারুণ বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা পোশাক দিয়ে কাউকে ‘জাজ’ করেন না। কে কী পরল, তোয়াক্কা করেন না। বন্ধুমহলে একজন কী পোশাক পরেছে, এটা খুব কমই তাঁদের আলোচনার বিষয়। বরং নিজের খুশিমতো পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাঁরা। তবে এসব পোশাকের ভেতরেও জনপ্রিয়তার বিচারে এগিয়ে আছে টি-শার্ট তথা গেঞ্জি। তরুণদের এসব গেঞ্জি আবার কথাও বলে! আর হ্যাঁ, এসব গেঞ্জিতে উঠে এসেছে জেন-জিদের মুখের ট্রেন্ডি নানা বুলি। জেনে নেওয়া যাক, বাংলাদেশের তরুণদের গেঞ্জিতে কী লেখা থাকে।
হালকা কাপড়ের আরামদায়ক বস্ত্র টি-শার্ট বা গোল গলার গেঞ্জি। সম্ভবত বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিধেয় পোশাকও এটিটি-শার্ট বা গেঞ্জি শ্রেণি–পেশা, তরুণ-তরুণী, তারকা-অতারকা–নির্বিশেষে বাংলাদেশের গণমানুষের পোশাকগোল গলার গেঞ্জির জনপ্রিয়তার শুরু থেকেই মনোক্রোম বা একরঙা গেঞ্জি আর জার্সির রাজত্ব চলেছে। তবে এখন সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রিন্টের গেঞ্জি। অনেকে নিজের ছবি, প্রিয় তারকার মুখ, সিনেমার জনপ্রিয় সংলাপ, স্লোগান, কবিতার লাইন বা দৃশ্যও প্রিন্ট করিয়ে নেন। অনেকে টি-শার্টে আঁকেন প্রেমিক বা প্রেমিকার ছবিটি-শার্ট আবার প্রচারণা ও প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের প্রচারণার জন্য কাস্টমাউজ করে বানানো হয়েছে টি-শার্ট। ‘হাওয়া’, ‘আদিম’সহ বিভিন্ন সিনেমার প্রচারণার সময় তৈরি হওয়া টি-শার্টগুলো এখনো কিনতে পাওয়া যায়হাল-ফ্যাশনের নতুনতম সংযোজন হলো ‘কথা বলা টি-শার্ট’। হ্যাঁ, টি-শার্ট আবার কথাও বলে। এই যেমন এই টি-শার্টে লেখা, ‘বাবু খাইসো?’ ‘কথা কম বলেন’, ‘নেশা কেটে গেলে তুমিও কেটে যাবে’, ‘লেবেল বুঝে কথা ক’, ‘সামনে পরীক্ষা’, ‘পকেট পুরাই ফাঁকা’, ‘আজ আমার মন ভালো নেই’—এ রকম তরুণ প্রজন্মের নানা বুলি, মিম উঠে আসে টি-শার্টেতরুণদের অনেকেরই অন্তত একটা হলেও কাস্টমাউজড গেঞ্জি আছে। সেগুলোর সাধারণত পেছনে নিজের নাম লেখা থাকে। অনেকের গেঞ্জিতে থাকে জনপ্রিয় সব ‘ইমোটিকন’। এই টি–শার্টে লেখা, ‘দাদা খেয়ে এসেছেন, নাকি গিয়ে খাবেন?’তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীত তারকা মাশা ইসলামের গেঞ্জিতে লেখা—‘আই অ্যাম আনলিমিটেড’‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গেঞ্জি গায়ে অনেকেই ঈদের সময় বাড়িতে ফেরেন। আবার বাবুদের গেঞ্জিতে লেখা থাকে—‘আই অ্যাম সো সুইট’, ‘হাসো’, ‘কিউট বেবি’, ‘আজ আমার ১ বছর’, ‘বড় হয়ে যাচ্ছি’ ইত্যাদিবেড়াতে গিয়ে অনেকেই জুটি বেঁধে মিলিয়ে পরেন গেঞ্জিটেকসই ফ্যাশন, পরিবেশবাদী আন্দোলনও উঠে আসে গেঞ্জিতে। এই যেমন এখানে লেখা—‘কাঁটাবন মোড়ে বাসা খোঁজে সুন্দরবন’জেন-জিদের মুখের বুলি উঠে এসেছে গেঞ্জিতে। এই যেমন, ‘প্যারা নাই, চিল’, ‘জ্ঞান দেবেন না’, ‘ভাবছি, ভালো হয়ে যাব’, ‘খেলা হবে’, ‘আমি আমার বাজেটের বাহিরে’, ‘বয়ফ্রেন্ড ইগনোর করলে কল দিও’, ‘নাটক কম করো পিয়’, ‘কথা ক’, ‘আওয়াজ উডা’, ‘ওই মামা না প্লিজ’, ‘বাবু খাইসো’—এ রকম আরও কত কী!