আরামের পাশাপাশি স্টাইলটাও ফুটে উঠুক শিশুর শীতপোশাকে
আরামের পাশাপাশি স্টাইলটাও ফুটে উঠুক শিশুর শীতপোশাকে

শীতে শিশুকে কেমন পোশাক পরাবেন

শীতের শীতপোশাকে থাকুক রঙিন রং

শিশুর শীতপোশাক নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন মা–বাবারা। ভারী পোশাক বেশিক্ষণ গায়ে রাখতে চায় না বাচ্চারা। আবার পাতলা পোশাকে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. লুতফুন নিসা। তিনি বলেন, শিশুদের শীতের পোশাক হওয়া চাই ঘর ও বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেননা পোশাকে অস্বস্তি হলে শিশুরা বলে বোঝাতে না পারলেও খুলে ফেলতে চায়। তাই অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে, পোশাকটা শিশুর অস্বস্তির কারণ হচ্ছে কখন।

হালকা শীতে জ্যাকেট পরুক

শিশুর শীতের পোশাকেও চাই নানা রং, নকশা ও নতুনত্ব। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে শীতপোশাকের ভারে শিশু যেন জুবুথুবু না হয়ে পড়ে। বনানীর শিশুদের পোশাকের দোকান লিটেল এঞ্জেলসের ব্যবস্থাপক ফারজানা ববি বলেন, ‘উষ্ণতার পাশাপাশি শিশুদের পোশাকে ফ্যাশনটাও সমানভাবে থাকা চাই। পছন্দের পোশাক পরতে শিশু নিজে যেন আগ্রহী থাকে।’ দেখে নিন শিশুর শীতের পোশাকের চলতি ধারা।

মাথায় হুডি, গায়ে পাফার জ্যাকেট

হুডি পরালে মাথাটাও ঢেকে থাকে

শীতে শিশুদের মাথা-কান ঢেকে রাখা বেশ জরুরি। সে ক্ষেত্রে আলাদাভাবে টুপি কিংবা মাফলার প্যাঁচানোর ঝামেলায় না গিয়ে হুডি পরাতে পারেন। ভারী গেঞ্জি কাপড়ের হুডি ছাড়াও বেছে নিতে পারেন হুডিওয়ালা পাফার জ্যাকেট। হালকা হলেও এগুলো বেশ উষ্ণ। শিশুর ছুটে বেড়ানোতে বাধা হয় না। ছেলে কিংবা মেয়েশিশু, পরতে পারে উভয়ই।

শিশুর গায়ে কত স্তর পোশাক

শিশুকে পোশাক পরানোর সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। ডা. লুতফুন নিসা বলেন, ‘শিশুকে তিন স্তরের বেশি পোশাক না পরানোই ভালো।’ সে ক্ষেত্রে প্রথমে পাতলা একটি ফুলহাতা গেঞ্জি পরিয়ে তার ওপর সোয়েটার পরানোর পর জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পায়ে ঠান্ডা যেন না লাগে, সে জন্য পরাতে হবে ভারী কাপড়ের প্যান্ট নয়তো জিনস।

শীতপোশাকের ভারে শিশু যেন জুবুথুবু না হয়ে পড়ে

উলের সোয়েটার, লেদার আর পশমের জ্যাকেট

রঙিন উলের সোয়েটার আরাম নিশ্চিত। পশমের নকশা করা পোশাকে দেখতে লাগে ঠিক যেন পুতুলের মতো। এ ছাড়া স্টাইলটাও চাই। তাই তো, শিশুদের পোশাকে চামড়ার ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে আজকাল।

কম শীতে ডেনিম জ্যাকেট

শীত কম থাকলে শিশু পরতে পারে ডেনিম জ্যাকেট।