লালগালিচায় যেন একরাশ শুভ্রতা ছড়ালেন মডেল ও অভিনেত্রী নিদ্রা নেহা। ছবিতে ছবিতে জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে অভিষেকে ফ্যাশন-মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।
নিদ্রা যখনই দ্বিধায় পড়ে যান যে কী রঙের পোশাক পরবেন, তখনই হাত বাড়ান সাদার দিকে। সাদা তাঁর সবচেয়ে প্রিয় রং। সাদা পোশাকে নিজেকে মেলে ধরার জন্য সচেতনভাবেই উপলক্ষ খোঁজেন নিদ্রা মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩-এর লালগালিচায় নিদ্রা দেখা দেন সাদা রঙের জামদানি আর মুক্তার স্লিভলেস ব্লাউজে। সঙ্গে ছিল মুক্তার দুল আর হাতে মুক্তার ব্রেসলেট। এই দুল, ব্রেসলেট, ব্যাগ—সবই নেওয়া হয়েছে দেশি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং থেকে। ছবিতে জীবনসঙ্গী প্রান্তর দস্তিদারের সঙ্গে নিদ্রা নিজেও একজন শিল্পী। পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়, ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিংয়ে। লালগালিচায় ফ্যাশন-মুহূর্তে তৈরিতে সেই শিল্পীসত্তাকেই কাজে লাগিয়েছেন। নিজেই নিজেই শাড়ি, ব্লাউজের নকশা করেছেন। ডেমরায় যেখানে জামদানি তৈরি হয়, সেখানে ঘুরে ঘুরে জামদানির নকশা পছন্দ করে তাঁতিদের জামদানির প্যাটার্ন হাতে-কলমে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেভাবেই শাড়িটি তৈরি করে দেন তাঁতিরা। ব্লাউজটা মুক্তা জুড়ে জুড়ে তৈরি। নিদ্রা বললেন, ‘জামদানির প্যাটার্ন কিন্তু আমি নকশা করিনি। আমি ঘুরে ঘুরে কয়েকটি প্যাটার্ন পছন্দ করেছি। তারপর সেগুলো সাজিয়েছি। সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছি তাঁতিদের।’ অন্যদিকে প্রান্তর ছিলেন স্যুটেড বুটেড হয়ে! নিদ্রা নেহা আজন্ম ‘স্টাইলিশ’। ছোটবেলায় মায়ের হাত ধরে উৎসবের জামাকাপড় কিনতে গিয়ে যেগুলো পছন্দ হতো, প্রায়ই সেগুলো চলে যেত বাজেটের বাইরে। কিন্তু সেই জামা না নিয়ে ঘরে ফিরতেন না। দোকানের সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়তেন। হাত-পা ছুড়ে কান্নাকাটি করে ‘বিদ্রোহ’ জানাতেন। বাধ্য হয়ে সেই জামা কিনে দিতে হতোএকান্তই যদি জামা না কিনে ঘরে ফিরতেন মা, তাহলে ‘প্ল্যান বি’ হিসেবে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিতেন। বাবা একটার বদলে দুইটা বা তিনটা জামা কিনে দিলে তবেই দানাপানি মুখে তুলতেন। সেই ছোট্ট নিদ্রা নেহা এখন দেশের প্রতিষ্ঠিত মডেল ও উঠতি অভিনেত্রী প্রথম আলোর লাইফস্টাইল ক্রোড়পত্র ‘নকশা’র বেশ কয়েকটা সংখ্যায় দেখা দিয়েছেন তিনিখোঁপায় সাদা গোলাপ গুঁজে দিতেও ভোলেননি। সব মিলিয়ে শ্বেতশুভ্র ‘সিম্পলের ভেতর গর্জিয়াস’ লুকে মেরিল-প্রথম আলোর লালগালিচায় নিদ্রার অভিষেক ঘটলতবে মেরিল-প্রথম আলোর লালগালিচা মাড়িয়েছেন চরকির সিনেমা ‘আন্তনগর’-এ অভিনয় করে। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল পূর্ণিমা। তিনি বললেন, ‘সাদার দিকে হাত বাড়ানোর এটাও আরেকটা কারণ। আমি আজ এখানে পূর্ণিমা চরিত্রের জন্য। আর পূর্ণিমা তো সাদা। আমি সাদাতে সেই পূর্ণিমারও প্রতিনিধিত্ব করছি।’