শেষ চৈত্রের খটোমটো রোদ কিংবা আসন্ন বৈশাখের ঝোড়ো বাতাস—ঈদে আবহাওয়া যেমনই থাকুক, সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি শিশুর জন্য চাই গরম উপযোগী পোশাক। চলতি ফ্যাশনের নানা নকশা আর রঙের ছড়াছড়ি, সব ছাপিয়ে শিশুর পোশাকে আরামটাই হবে মুখ্য। আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, আসছে ঈদে শিশুদের ফ্যাশনে আরামের পোশাকটি কেমন হতে পারে।
ঈদের সকালে বাসার ছোট্ট ছেলেটিও পাঞ্জাবি পরে নামাজে যাবে। সুতি কাপড়ের উজ্জ্বল রঙের পাঞ্জাবিতে থাকতে পারে হালকা নকশা। মেয়েটির গোলাপি রঙের পোশাকে গলার বড় কলার নজর কাড়ে। পুরো পোশাকেই ছোট ছোট সাদা বো লাগানো।এই ঈদে শিশুদের পাঞ্জাবিতে ছাপের দিকে বেশ নজর দিচ্ছে ফ্যাশন হাউসগুলো। মেঘ, পাতা, গাছ, ঘাস, ফুল ছাড়াও গাড়ি কিংবা প্রিয় খেলনার ছবির ছাপ বসানো কাপড়ে তৈরি হয়েছে শিশুদের পোশাক।চলতি ফ্যাশনে কো-অর্ড সেট বেশ জনপ্রিয়। সুতি, লিনেন, জর্জেট ও জ্যাকার্ড কাপড়ের ওপর ফুলপাতার টুকটুকে রঙিন প্রিন্টের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছোট্ট মেয়েদের কো-অর্ড সেট। পোশাকের কাট যেন ঢিলেঢালা হয়, সেদিকে আছে বিশেষ নজর। সাধারণ নকশার টপস-প্যান্টে কাপড়ের ধরন ও ছাপা নকশাই মুখ্য।টি-শার্ট, এই একটি পোশাক দিয়েই কাটিয়ে দেওয়া যায় দিনের পর দিন। ছোটদের জন্য ছোট ছোট অর্থবহ বার্তা লেখা রঙিন সব টি-শার্ট মিলছে ঈদের বাজারে।ছোটবেলায় সবারই অন্তত একটা হলেও পলকা ডট ছাপের জামা ছিল। শিশুদের ঈদপোশাকেও চিরসবুজ এই ছাপের দেখা মিলছে। শার্ট কলার ছাড়াও ছোট্ট মেয়েদের পোশাকে দেখা যাচ্ছে নানা আধুনিক গলার নকশা। সাধারণ হালকা রঙের শার্টে অন্য রঙের জ্যাকেট কলার যেন বিদেশি ফ্যাশনের ধারা। খানিকটা কোরিয়ান স্টাইলের সঙ্গে মিলে যায়। হাতায়ও রঙিন বর্ডার। ছোট ছেলেদের শার্টের নকশায় এবার একটু ভিন্ন ধাঁচ বেশ লক্ষণীয়।