তুরস্কের ডিজাইনার আরজু ক্যাপরোলের সংগ্রহ দিয়ে শুরু হয় ব্রিকস+ফ্যাশন সামিটের দ্বিতীয় দিনের ফ্যাশন শো। প্রথম থেকে শেষ, প্রতিটি পোশাকই দর্শকদের মুগ্ধ করে। পোশাকে ছিল নিখুঁত কাটের পরিবেশনা।
নকশায় কোনো বাহুল্য ছিল না। ব্যবহার করেননি কোনো থ্রি–ডি ডাইমেনশন। ছিল না একই পোশাকে ভিন্ন রঙের ব্যবহার। সিল্ক, চামড়া, শিয়ার ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে ড্রেস, সুইম স্যুট, সান্ধ্য পোশাক।
ডিজাইনার আরজু ক্যাপরোল সম্মেলনে এক আলোচনা সভায় বললেন, ‘একটি নকশার লাখ লাখ পোশাক বানানোর প্রয়োজন নেই। সমাজে এত পোশাকের প্রয়োজন নেই।’
মার্জিতভাবে সমকালীন, আধুনিক ও ভবিষ্যতের ফ্যাশন সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর পোশাকে। ফ্যাশন শোটি মস্কোর জারইয়াডাই পার্কেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মস্কোর স্টেট হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চীনের ডিজাইনার চেনইউ তুলে ধরেন শরৎ-বসন্ত ২০২৪ সংগ্রহ। এক বছর পরের পোশাক বানালেও অনুপ্রেরণা নিয়েছেন বিগত দিনের স্মৃতি থেকে।
চেনইউ জানালেন, রাশিয়ার পাশেই চীনের উত্তর–পূর্ব দিকে তাঁর বাড়ি। সেখানে তীব্র ঠান্ডা পড়ে।
‘এই পোশাকগুলো আমার বাড়িতে কাটানো সেই শীতল দিনগুলোর কথা মনে করে বানিয়েছি। এই সংগ্রহ আমার জন্য অনেকটাই বাড়ির জন্য কাতর মুড। চামড়া ও জার্সি দিয়ে বানানো জ্যাকেটগুলোতে বিশেষ ফিনিশিং দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতির পোশাকগুলো শরীরকে উষ্ণ করলেও এর টেক্সচার বেশ নরম,’ বললেন চেনইউ।
চেনইউ ও আরজু ক্যাপরোল আশা করছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠবে।