পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান তাঁদের বিয়ের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন গত ১ অক্টোবর। সেই সময় অনেকেই লিখেছিলেন যে এত সুন্দর বিয়ের কনে নাকি তাঁরা আগে কখনো দেখেননি। ভবিষ্যতে দেখবেন, সেই আশাও করেন না। ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মাহিরা। ব্যক্তিজীবন নিয়ে তাঁকে খুব একটা কথা বলতেও দেখা যায় না। সম্প্রতি মাহিরা খানের একটা সাক্ষাৎকারের ছোট্ট একটা অংশ ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে সঙ্গী সেলিম করিমকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
ব্যবসায়ী ও ডিজে সেলিম করিমের সঙ্গে মাহিরা খানের পরিচয় ২০১৭ সালে। ২০২০ সালে সেলিম করিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন মাহিরাসম্প্রতি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ম্যাশনের সঙ্গে এক কথোপকথনে মাহিরাকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর জীবনসঙ্গীর কোন দিকটা তিনি অপছন্দ করেন। উত্তরে মাহিরা প্রথমে বলেন, ‘বলতেই হবে?’ তারপর বলেন, ‘ও খুবই অন্তর্মুখী স্বভাব। আমার প্রতি ওর আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে কম। এটা আমি মেনে নিয়েছি।’মাহিরা খান আরও বলেন,‘ঘুম থেকে উঠেই ও মিউজিক ছেড়ে দেয়। সারা দিন বাড়িতে গান বাজতে থাকে। এদিকে ঘুম থেকে উঠে আমি একটু পাখির ডাক শুনতে ভালোবাসি। তবে আমি একা একা সকালের নাশতা খেতে ভালোবাসি। আর সে–ও এটা মেনে নিয়েছে।’কয়েক মাস ধরেই গুজব চলছে যে ৩৯ বছর বয়সী মাহিরা নাকি সন্তানসম্ভবা। সেই কানাঘুষায় পানি ঢেলে মাহিরা বলেন, ‘আমার সম্পর্কে যা কিছু মিথ্যা রটেছে, এটা সবচেয়ে উদ্ভট। বোধহয় বিয়ের পর আমার ওজন বেড়েছে। এ কারণে বলা হচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে, আমি নাকি নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজটা ছেড়ে দিয়েছি। মিথ্যা। সিরিজটা আমি করছি।’সফল ব্যবসায়ীকে বিয়ের পর বলা হচ্ছিল, সেলিম খান ধনী, এটাই নাকি তাঁকে বিয়ে করার মূল কারণ। নিন্দুকের সেসব উটকো মন্তব্যের উত্তরে ভক্তরা তখন জানান যে মাহিরা খানের যে বাড়ি, সেটির দামই সেলিম খানের মোট সম্পদের চেয়ে বেশিদুবাইভিত্তিক সংবাদ সংস্থা খালিজ টাইমসের ২০২৩ সালের অক্টোবরের প্রতিবেদন অনুসারে, সেলিম খান এক মিলিয়ন ডলারের মালিক। অন্যদিকে মাহিরা খান ১৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের মালিকপাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান ২২৫ কোটি টাকার মালিক। তিনি পাকিস্তানের একমাত্র তারকা অভিনেত্রী, যাঁর মোট সম্পদ ছাড়িয়ে গেছে ১০০ কোটির মাইলফলকমাহিরা তাঁর জীবনসঙ্গী সেলিম করিমের চেয়ে প্রায় ১৯ গুণ ধনীসফল এই অভিনেত্রীর আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট। নানা সময়ে তিনি কোকাকোলা, পেপসি, লাক্স, ভিট, হুয়াই, মেবিলাইন, ল’রিয়েলসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হয়েছেনসর্বশেষ বিউটি ব্র্যান্ড অ্যালিউরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাহিরা খান নিজের ক্লোদিং ব্র্যান্ড ‘এম বাই মাহিরা’র যাত্রা শুরু করেন। কামিজ আর শাড়ি ছাড়াও এম বাই মাহিরার অন্যতম ‘সিগনেচার পণ্য’ পারফিউমফ্যাশন আর বিউটিতে মাহিরা খানের জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গেছে প্রথম শ্রেণির বলিউড তারকাদেরও