২০১৭ সালের ২৩ জুন প্রথম দেখা। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ার যে ব্যাপার, বলিউড তারকা সোনাক্ষী সিনহা আর জহির ইকবালের সেটিই ঘটেছিল। দুজনে দুজনের চোখে দেখেছিলেন প্রেম। এ ঘটনার ঠিক ঠিক সাত বছর পর ঘটা করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন এই জুটি। প্রথম দিনটাকেই স্বীকৃতি দিয়ে উদ্যাপনের বড় উপলক্ষ বানিয়ে রাখলেন। বিভিন্ন আয়োজনে ৪টি পোশাকে (আইভরি–সাদা আনারকলিতে আশীর্বাদ, মায়ের আইভরি বিয়ের শাড়ি, সংবর্ধনার টকটকে লাল বেনারসি ও রাতের পার্টিতে মেরুন আনারকলি) দেখা গেছে সোনাক্ষীকে। দেখে নেওয়া যাক, ২৩ জুন সোনাক্ষীর সাজপোশাক কেমন ছিল।
সোনাক্ষী সিনহা বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরে আছেন। জহিরের পাশে তাঁর বাবা দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন। কাগজে স্বাক্ষর করছেন জহির। অবশেষে তাঁরা কাগজে–কলমে স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলেনএ সময় সোনাক্ষীর পরনে ছিল তাঁর মা পুনম সিনহার ৪৪ বছরের পুরোনো বিয়ের শাড়ি। মায়ের বিয়ের শাড়িটিকেই আপসাইকেল করে পরেছেন তিনি। এর আগে কারিনা কাপুর বিয়েতে তাঁর শাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুরের শাড়ি পরেছিলেন সোনাক্ষীর হাত, কান ও গলায় যে গয়নাগুলো দেখতে পাচ্ছেন, সেগুলোও তাঁর মায়ের। সাবেক মডেল, বলিউড তারকা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পুনম সিনহার বিয়ের গয়নাগুলোও আপসাইকেল করে নিজের বিয়েতে পরেছেন সোনাক্ষী। এদিকে বর জহির ইকবালের পরনে ছিল সাদা চিকেনের কাজ করা শেরওয়ানি আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যায় সোনাক্ষী দেখা দেন একেবারে বাঙালি বধূর সাজে। লাল রঙের বেনারসি সিল্ক শাড়ির সঙ্গে সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছিল সিঁদুর। সিঁদুর দিয়েই কপালে গোল টিপ এঁকেছিলেন সোনাক্ষী। দুই হাতে মেহেদির সবচেয়ে সরল নকশা, বৃত্ত! সঙ্গে সবুজ পাথরের চোকার ও কানে দুলচুলগুলো পেছনে খোপা করে জড়িয়েছেন ফুলের মালা এ সাজেই আগত অতিথিদের নিয়ে ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রাউডি রাঠোর’ সিনেমার ‘চিকনি কোমর পে’ গানের তালে তালে নাচেন সোনাক্ষী ও জহিররাতভর হয়েছে পার্টি। রাতে বিশাল পাঁচতলা একটি কেক কাটেন এই জুটি। সেই সময় সোনাক্ষীর পরনে ছিল মেরুন রঙের জমকালো আনারকলি। এ সময় দুজনে নেচেছেন ‘দাবাং’ সিনেমার ‘তেরে মাস্ত মাস্ত দো ন্যায়ান’ গানেরাতভর দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন হানি সিংকনের ভাইয়েরা যখন মাথার ওপর ফুলের খাটিয়া ধরে কনেকে বিয়ের আসরে নিয়ে আসছিলেন, তখন বাজছিল ‘আফরিন আফরিন’। জহির তখন বলেন, গানটি তিনি সোনাক্ষীকে উৎসর্গ করলেন!সোনাক্ষীর জন্য যে এই বিয়ে খুবই আবেগের মুহূর্ত তা চোখের পানি আর মুখের হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছিলসোনাক্ষী লেখেন, ‘লড়াই শেষে ভালোবাসা জয়ী হয়েছে। অবশেষে দুই পরিবার আর সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছি।’সোনাক্ষী জহিরকে বলেছেন, তিনি খুবই ‘নার্ভাস’ আর খুবই খুশি!