৪৯তম জন্মবার্ষিকীতে আলো ফেলা যাক প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সব মুহূর্তে।
১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বরও ছিল মঙ্গলবার। সেদিনই ভারতের কর্ণাটকে বাবা কৃষ্ণারাজ রাই ও মা বৃন্দা রাইয়ের ঘরে জন্ম নেন ঐশ্বরিয়া। বলিউড থেকে বিশ্ব যাঁকে ‘অ্যাশ’ নামে চেনেকৃষ্ণরাজ রাই ছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী। মা বৃন্দা রাই লেখিকা। ভাই আদিত্য রাই নৌবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। ছবিতে ঐশ্বরিয়ার বাবা–মা উচ্চশিক্ষিত পরিবারের মেয়ে ঐশ্বরিয়া ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। নবম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রথম বিজ্ঞাপনে কাজ করেন উচ্চমাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পান ঐশ্বরিয়া। মডেল, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার কোর্সে ভর্তিও হয়েছিলেন। তবে মডেলিংই জিতে যায় মেডিসিন ও আর্কিটেকচার পড়াশোনার কাছে। তাই ‘ড্রপ আউট’দের খাতায় নাম লেখান ঐশ্বরিয়া
১৯৯৪ সালে জেতেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব। এখন পর্যন্ত তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর সফলতম মিস ওয়ার্ল্ড২০০৩ সালে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানিত জুরি হন ঐশ্বরিয়া। এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছর ফ্যাশন আইকন হিসেবে হাঁটছেন কানের লালগালিচায়২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে ঐশ্বরিয়া বনে যান বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ
বিজ্ঞাপন
এর আগে কারিশমা কাপুর ও রানী মুখার্জির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল অভিষেক বচ্চনের। এদিকে ঐশ্বরিয়ার সাবেকদের মধ্যে রয়েছে সালমান খান ও বিবেক ওবেরয়ের নাম ২০০৯ সালে ঐশ্বরিয়া ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের হাত থেকে গ্রহণ করেন সম্মানজনক পদ্মশ্রী পুরস্কার (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার) যে শাড়িতে পদ্মশ্রী গ্রহণ করেন, সে পোশাকেই মাদাম তুসোর জাদুঘরে বানানো হয়েছে ঐশ্বরিয়ার মোমের মূর্তিভারতের উত্তর প্রদেশের মালিহাবাদ এলাকায় আমের একটি জাতের নাম রাখা হয় ‘ঐশ্বরিয়া’। ৮২ বছর বয়সী সফল আমচাষি কলিম উল্লাহ জানান, এটি তাঁর উদ্ভাবিত আমগুলোর মধ্যে সেরা। ১৯৯৪ সালে ঐশ্বরিয়া বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয়ের পর এই নামকরণ করেন তিনি
বিজ্ঞাপন
নেদারল্যান্ডসের কেউকেনহফ গার্ডেন টিউলিপ ফুলের জন্য বিখ্যাত। এখানে ‘ঐশ্বরিয়া’ নামে টিউলিপের বিশেষ একটি জাত আছে। ছবিতে ভক্তের তুলিতে ঐশ্বরিয়া ঐশ্বরিয়া রাই ফরাসি সৌন্দর্যপণ্য ব্র্যান্ড ল’রিয়েলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। অপরাহ উইনফ্রের শোতে অংশ নেওয়া প্রথম ভারতীয়। ২০১১ সালে ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে ফরাসি দূতাবাসে ‘নাইট অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস’ পুরস্কারও গ্রহণ করেন ঐশ্বরিয়া।স্ত্রী আর মা—দুই ক্ষেত্রেই ভীষণ কড়া ঐশ্বরিয়া। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খল হিসেবে নামডাক আছে অ্যাশের। মেয়ে আরাধ্যর সঙ্গে পরিবারের অন্যরা কীভাবে ব্যবহার করবে, তা-ও ঠিক করে দিয়েছেন তিনিবিয়ের পর থেকে ব্যক্তিগত জীবনকে প্রাধান্য দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া। একমাত্র মেয়ের বড় হয়ে ওঠায় গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সে জন্য বলিউড, হলিউড আর টালিউডের সফল ক্যারিয়ার ছাড়তেও দ্বিতীয়বার ভাবেননি