রঙিন নকশার পোশাক, মেকআপ আর গয়নাতেও আরামদায়কভাবে নিজেকে সাজিয়ে তোলা সম্ভব।
শারদীয় দুর্গাপূজার সাজে থাকতে পারে আধুনিক ও সনাতন—দুই যুগেরই ছাপ। পুরোনো ধাঁচের সাজকেই নাহয় নতুনভাবে তুলে ধরলেন তরুণীরা। রঙিন নকশার পোশাক, মেকআপ আর গয়নাতেও আরামদায়কভাবে নিজেকে সাজিয়ে তোলা সম্ভব। তারই কিছু নমুনা থাকল নকশায়। এবার আপনি এই সাজ থেকে বেছে নিতে পারেন নিজের পছন্দের সাজটি।
বেণি শুনলেই ধরে নেওয়া হয় পুরোনো স্টাইল। এথনিক স্টাইলে নিজেকে তুলে ধরতে চাইলে বেণি হতে পারে অন্যতম অনুষঙ্গ। বেণির বুননে দু–তিন রঙের কাপড় জড়িয়ে নিলে চেহারায় উজ্জ্বলতা চলে আসতে বাধ্য।
চুলের এই সাজের সঙ্গে মানানসই গয়না হিসেবে মাদুলি আর রিকশার নকশাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। হালকা নকশার হলেও রঙের কারণে সাজে চলে এসেছে পূজার আমেজ। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা পোশাকটি কোটা কাপড়ের তৈরি। মাথার এক পাশে দুলছে পাতা নকশার দুটি দুল। চাইলে না–ও পরতে পারেন। সাজের এসব অংশে উজ্জ্বল রঙের উপস্থিতির কারণে মেকআপে প্রাধান্য পেয়েছে ন্যুড রং।
খুব উজ্জ্বল রং বলে কমলা পোশাক পরতে অনেকেই ভয় পান। কিন্তু এই রঙের আলাদা একটা মাধুর্য আছে, অকপটভাবে তুলে ধরতে পারে উৎসবের ভাব। তবে এই রঙের পোশাক কীভাবে পরছেন, স্টাইলিংই–বা করছেন কীভাবে, সেটাও একটা বিষয়। এখানে যেমন সুতির কমলা রঙের প্যান্টের সঙ্গে বেছে নেওয়া হয়েছে কোটা কাপড়ের টপ। পোশাকটি পরেই মডেল সায়রা বললেন, মাখনের মতো নরম। ভারী কোনো কাজ না থাকার পরও রঙের কারণে পুরো পোশাকটিতে চলে এসেছে উৎসবের আমেজ।
গয়না হিসেবে গলার মালাটিও বেশ নজরকাড়া। বিডসগুলো দেখতে অনেক বড় বড় হলেও খুবই হালকা। কানের টপটি মাটির তৈরি। চ্যাপটা করে বাঁধাই হাতখোঁপার ওপর পরানো হয়েছে বিডসের আরেকটি মালা। ব্লাশঅন, লিপস্টিক আর চোখের আইশ্যাডোতে ব্যবহার করা হয়েছে ম্যাজেন্টা ধাঁচের রং।