ডুরে ক্যাজুয়াল পোশাকের জন্য আদর্শ। পাঞ্জাবি, কামিজ, স্কার্ট—স্ট্রাইপের নকশা ব্যবহার করা হয় সব পোশাকেই। স্ট্রাইপের সঙ্গে সুতার কাজ, কাটওয়ার্ক বা এথনিক নকশা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। ভিন্নতা আনতে এক পোশাকের মধ্যেই লম্বা ও আড়াআড়ি স্ট্রাইপ একটির সঙ্গে আরেকটি জুড়ে দিচ্ছেন ডিজাইনাররা। স্ট্রাইপড পোশাক পরতে পারবেন যেকোনো শারীরিক কাঠামোর মানুষই। পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও স্টাইলিশ—স্ট্রাইপের নকশাটাই এমন। স্ট্রাইপ দিয়ে খুব সাহসী স্টাইল তৈরি করা যায়। পাশাপাশি পুরো পোশাকের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব নমনীয় ভাবও।
পিয়ার কাঠামো
যাঁদের কাঁধ ছোট কিন্তু ঊরু ও পশ্চাৎ অপেক্ষাকৃত ভারী—আড়াআড়ি নকশার স্ট্রাইপ বেশ ভালো যাবে এ ধরনের শারীরিক কাঠামোর জন্য। পোশাকের ওপরের অংশে স্ট্রাইপের নকশা একটু ঘন থাকলে কাঁধকে তুলনামূলক চওড়া লাগবে। প্যান্ট, স্কার্টে থাকতে হবে লম্বালম্বি স্ট্রাইপ। শরীরের নিচের অংশটি কিছুটা শুকনা লাগবে দেখতে
আপেল কাঠামো
শারীরিক কাঠামোতে পেটের কাছটা যাঁদের ভারী, লম্বাটে বা কোনাকুনি স্ট্রাইপের নকশা এই কাঠামোতে মানানসই। কোনাকুনি স্ট্রাইপ মোটা জায়গা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেবে।
আওয়ার গ্লাস কাঠামো
এই কাঠামোতে কোমরটা সরু হয়ে থাকে ঠিক বালিঘড়ির মতোই। নিজের পছন্দমতো স্ট্রাইপ বেছে নিতে পারবেন আপনি। আড়াআড়ি স্ট্রাইপও মানাবে। তবে কোমরের কাছে বেশি ঢিলা থাকলে, এমন পোশাক না পরাই ভালো।
খাটোদের জন্য
যাঁরা খাটো, চোখ বন্ধ করে বেছে নেবেন লম্বালম্বি স্ট্রাইপের পোশাক। রাতারাতি কিছুটা লম্বা হয়ে যাবেন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ না পরাই ভালো এ ধরনের শারীরিক গড়ন যাদের
হৃদয় আকৃতির কাঠামো
আপনার কাঁধ যদি তুলনামূলক চওড়া হয়ে থাকে ঊরু ও পশ্চাতের থেকে, হৃদয় আকৃতির কাঠামোর অধিকারী আপনি। এ ধরনের কাঠামোতে হাত ও পেটেও অতিরিক্ত মেদ থাকে। টপের ক্ষেত্রে লম্বালম্বি স্ট্রাইপ বেছে নিতে পারলে ভালো। শরীরের নিচের অংশের জন্য আড়াআড়ি স্ট্রাইপ মানাবে। সহায়তা করবে আপনার ওপরের কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে।