বিরাট কোহলির ওয়ার্ডরোব থেকে টি-শার্ট আর জ্যাকেট নিয়ে পরতে বেশ লাগে বলিউড সুন্দরী আনুশকা শর্মার। আর সে কথা অকপটে তিনি বলেছেন একবার বোগ ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে। সেলিবিট্রি থেকে আমজনতা, হয়ত অনেকেই পরে থাকেন স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডের পোশাক। এটা কেবল কাজ চালানো বা স্বাদ বদলানো নয়, বরং কাজ করে নির্মল ভালোবাসাও।
নিজের ড্রেসের কালেকশনে একঘেয়েমি এসে গেলে শপিংয়ে না ছুটে চাইলে আপনিও আপনার বয়ফ্রেন্ড অথবা স্বামীর ওয়ার্ডরোব থেকে কিছু জিনিস কয়েকবার পরা জন্য বা একেবারেই নিয়ে নিতে পারেন। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। ছেলেদের ওয়ার্ডরোবে আপনি পেয়ে যাবেন স্টাইল আপ করার মতো সীমাহীন কালেকশন। আপনার লুকে স্টাইলিশ চেঞ্জও আসবে। উপরি পাওনা হিসেবে প্রিয় মানুষটির ঘ্রাণ আর স্মৃতিচিহ্ন তো আছেই। আপনার ভালোবাসার মানুষটি তার শখের পোশাকে আপনার ভাগ বসানো নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাকে এটাই বলুন। নিশ্চয়ই বুঝবে। আফটার অল, শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং!
শুধু ক্ল্যাসিক সাদা নয়, অন্য যেকোনো রঙের শার্ট বেছে নিতে পারেন আপনার প্রিয় মানুষটির ক্লজেট থেকে। হতে পারে সেটি ফ্লানেল বা সুতির প্লেইড শার্ট। শার্টটি ওভারসাইজ হলেও কোনো সংশয় না রেখে পরে ফেলুন। কারণ, ফ্যাশনে ‘ওভারসাইজ ইজ অলওয়েজ বেটার’। জিনসের সঙ্গে বাটন ডাউন বা টাক ইন দুভাবেই পরতে পারেন। স্লিভ বেশি লম্বা হয়ে থাকলে ফোল্ড করুন। চাইলে টি-শার্টের ওপর লেয়ারিংও করা যায়। একটু অন্য রকম স্টাইল করতে চাইলে স্কার্ট, মিডি বা লং ড্রেসের ওপর নটআপ করুন। আপনাকে দেখাবে আকর্ষণীয়।
অবশ্যই আপনি আপনার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডের টি-শার্ট পরতে পারেন! সলিড কালারের চেয়ে বেছে নিন প্রিন্ট অথবা গ্রাফিক টি-শার্ট। তবে সেটা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে না মানালে সলিড কালারই বাছুন। জিনস, লেগিংস, স্কার্ট—যেকোনো কিছুর সঙ্গে সহজেই পেয়ার করে পরতে পারেন।
ট্রেন্ডে খুব চলছে ডেনিম আর লেদার জ্যাকেট। ওভারসাইজ হলে তো কথাই নেই। কখনো কখনো ওভারসাইজ জ্যাকেট ফিট জ্যাকেটের চেয়ে বেশি স্টাইলিশ দেখায়। সে ক্ষেত্রে আপনার মানুষটির জ্যাকেটগুলো আপনাকে ভালোই মানিয়ে যাবে। শুধু শার্ট-প্যান্টের ওপর নয়, স্কার্ট বা ফতুয়া, এমনকি কামিজের ওপরও পরতে পারেন।
আপনার যদি থাকে স্কিনি জিনস থাকে, তাহলে অনায়াসেই বয়ফ্রেন্ডের জাম্পারটি নিয়ে (অথবা কেড়ে) নিন। এটি আপনি লেগিংস বা স্কার্টের ওপরও পরতে পারেন।
বয়ফ্রেন্ড বা হাবির ফরমাল কোট ট্রাই করতে ভয় বা সংকোচ করবেন না। আপনার যেকোনো পোশাক, এমনকি শাড়ির ওপরও এটি মানিয়ে যাবে। আর ক্যাজুয়াল ব্লেজার জ্যাকেটও শার্ট, টি-শার্ট, কামিজ, শাড়ি—সবকিছুর ওপর পরা যায়। বটম হিসেবে বেছে নিন প্লিটেড প্যান্ট, পালাজ্জো বা যেকোনো ধরনের জিনস প্যান্ট।
সব মেয়ের কাছেই প্রিয় ‘বয়ফ্রেন্ড জিনস’। এই বিশেষ জিনসের নাম এমন হওয়ার কারণ ছেলেদের জিনসের মতো এর কাট আর টেইলারিং। তবে এখন মেয়েদের ‘বয়ফ্রেন্ড জিনস’-এর কথা বলছি না। বলছি আপনার বয়ফ্রেন্ডের জিনসের কথা। হয়তো ভাবছেন, এবার একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না? মোটেই না! আপনি আপনার বয়ফ্রেন্ড অথবা স্বামীর জিনস, এমনকি ট্রাউজারও নির্দ্বিধায় পরে স্টাইলিশ একটা লুক আনতে পারেন। পরুন টি-শার্ট বা শার্টের সঙ্গে। হাই ওয়েস্ট, লো ওয়েস্ট—দুভাবেই পরা যায়। বেশি লম্বা হলে হাই হিল বা প্ল্যাটফর্ম স্নিকারের সঙ্গে পরতে পারেন। কোমরে না আঁটলে হাল ছেড়ে দেবেন না, প্লিজ! বেল্ট দিয়ে আঁটকে নিন। সবই যখন নিচ্ছেন, তখন বেল্টটাও আপনার ‘ওনার’ ক্লজেট থেকে বেছে নিন। সুখের বিষয়, ট্রাউজার বা পাজামা প্যান্টে এত হ্যাপা নেই।
বয়ফ্রেন্ড বা স্বামীর এক্সেসরিজ ব্যবহারে কার্পণ্য করবেন না। তার ওভারসাইজ চেন ঘড়ি ব্রেসলেটের মতো পরতে পারেন। ব্রেসলেট তো অবশ্যই। রোদের দিনে সঙ্গী হতে পারে তার সানগ্লাস বা বেসবল ক্যাপ। আর শীতে টোক বা বিনি টুপি। বেল্টের কথা তো আগেই বলেছি। ফেদোরা বা কাউবয় হ্যাট থাকলে সেটিও পরে দেখতে পারেন। আশা করি খারাপ লাগবে না। তাহলে আর দেরি কেন! উইশ ইউ আ ভেরি হ্যাপি ‘হিজ ক্লজেট’ হান্টিং!