বসন্তের পোশাকে

বসন্তের রঙে রাঙা পোশাক। মডেল: লিসা ও অতশি, শাড়ি: দেশাল, সাজ: অরা বিউটি লাউঞ্জ, ছবি: কবির হোসেন
বসন্তের রঙে রাঙা পোশাক। মডেল: লিসা ও অতশি, শাড়ি: দেশাল, সাজ: অরা বিউটি লাউঞ্জ, ছবি: কবির হোসেন

আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। গানের কথার মতো ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’। গাছে গাছে, আড়ালে আড়ালে, কোণে কোণে ফুটতে শুরু করেছে কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ, হলুদ গাঁদা ফুল। বসন্তবরণে সবাই নানা নকশার পোশাক পরে বেরিয়ে পড়েন নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে। সবার কথা মাথায় রেখেই সাজ সাজ রবে সেজে উঠেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। 

বসন্তের পোশাক আয়োজন নিয়ে অঞ্জন’সের স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব সময় জ্যামিতিক মোটিফ নিয়ে বেশি কাজ করে থাকলেও এবার ফুলের নকশাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। বসন্তে শাড়ি–পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন অনেকে। শাড়ি–পাঞ্জাবিতে উৎসবের রং হিসেবে হলুদ, বাসন্তীর সঙ্গে কমলা, সবুজ, জলপাই রংগুলোকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’

এ সময় আরাম পাওয়া যাবে সুতির পোশাকে। পোশাক: দেশাল ও অঞ্জন’স

শাহীন আহমেদ বলেন, ছেলেরা অন্য সময় ফুলেল মোটিফ এড়িয়ে চললেও এ সময়ে বেশ পছন্দ করে। পাঞ্জাবিতেও জায়গা করে নিয়েছে ফুলেল নকশা। এ ছাড়া শাড়ি, পাঞ্জাবিতে ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট এবং এমব্রয়ডারির কাজও আছে। পোশাকগুলো সুতি কাপড়েই তৈরি করা হয়েছে। তবে কিছু লিনেন এবং সুতি সিল্কে তৈরি।

মডেল: শুভ, পোশাক: রঙ বাংলাদেশ

বসন্ত বসন নিয়ে দেশালের স্বত্বাধিকারী ইশরাত জাহান বলেন, এই প্রকৃতিতে রবিগুরুর ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়’ গানটি মনের ভেতর বাজতে থাকে। এই ছাপ পড়ে পোশাক নকশা করার ক্ষেত্রেও। চঞ্চল প্রকৃতির আয়োজনে চারপাশে যেসব রং খেলা করে, সে রংগুলোকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলোর পোশাকে। সবুজ, বাসন্তী, হলুদ, লেমন, কচি কলাপাতা রং ও সবুজের কয়েক রকমের শেড ব্যবহার করা হয়েছে। নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে ফুল, লতাপাতার বাহার। শাড়ির জমিনের কোথাও আছে এক থোকা ফুল বা কোথাও একগুচ্ছ পাতা। আবার কোথাও কবিতা বা গানের লাইন এঁকে সুতি, লিনেন, তাঁত ইত্যাদি কাপড়ের শাড়িতে আনা হয়েছে বাংলা প্রকৃতির আদল। ওড়না, কামিজ-সালোয়ারেও রয়েছে রং, নকশার খেলা। এবারে কিছু কিছু কামিজের ঝুলে নকশা কম থাকলেও সেখানে জায়গা করে নিয়েছে এমব্রয়ডারি বা হাতে করা সুতার কাজের নকশা।