১৮ বছর বয়স নাকি কোনো বাধা মানে না। সে কথার প্রমাণ দিলেন ফাতিমা আক্তার। পরিচিতজনদের কাছে যিনি লাকি নামেই পরিচিত। নকশার ‘নতুন আমি’ বিভাগের মাধ্যমে নিজেকে বদলে ফেলার ইচ্ছা হয় লাকির। ছবি পাঠালেন। তবে শত শত ছবির মধ্যে আলাদা করে লাকিকে চোখে পড়বে তো? এই ছিল ভাবনায়। লাকি যে আসলেই ‘ভাগ্যবতী’ সেটা আবারও প্রমাণ পেলেন নকশা থেকে ফোন পেয়ে। মা–বাবাকে রাজি করিয়ে লাকি আসেন নকশার নতুন আমি–র ফটোশুটে।
লাকির বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গীতে। ঢাকায় আসা–যাওয়া করেন নিয়মিত। এখন পড়ছেন ক্যামব্রিয়ান কলেজে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে। খুব বেশি সাজগোজ তো দূরে থাক, কখনো ভ্রু প্লাক পর্যন্ত করেননি।
উচ্ছল চঞ্চল লাকির লুক বদলের কাজটি করেছেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। তিনি জানান, লাকি এর আগে ভ্রু প্লাক করেননি। তাই তাঁর বাড়তি ভ্রু তোলা হয়েছে। এতেই তাঁর চেহারার মূল পরিবর্তন এসেছে।
যা কিছু নতুন—
মেকআপ
লাকির ত্বকের রঙের সঙ্গে মিল রেখে বেজ মেকআপ করা হয়েছে। পোশাকের সঙ্গে মানানসই করে ঠোঁট ও চোখ সাজানো হয়েছে।
চুল
তাঁর লম্বা ঢেউখেলানো চুল কিছুটা ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। আর চুলগুলোকে গোছাতে করা হয়েছে উঁচু খোঁপা।
পোশাক
লাকি উৎসব-অনুষ্ঠান বুঝে সব ধরনের পোশাকই পরেন। কিন্তু কাফতান ছাঁটের এমন পোশাক প্রথম পরলেন। সাজের সঙ্গে নতুন এই পোশাকে বদলে ফেলা হলো ১৮ বছরের তরুণীকে।
সাজের পর কেমন লেগেছে লাকির?
উত্তরে বললেন, ‘এই অভিজ্ঞতা ভাষায় বোঝাতে পারব না। নতুন আমির ধারণাটাই অন্য রকম, অনন্য। আমার এই নতুন লুক খুব পছন্দ হয়েছে। নিজেকে সত্যিকারের মডেল মনে হচ্ছে!’
গ্রন্থনা: সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন