শীতল আবহাওয়ায় আরাম দেবে পায়ের মোজা
শীতল আবহাওয়ায় আরাম দেবে পায়ের মোজা

অনুষঙ্গ

পায়ে-পায়ে মোজা

প্রয়োজন এবং স্টাইল—এই দুইয়েরই মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নতুন সব মোজা।

শীতের হিম বার্তায় অনেকখানি স্বস্তি দেয় পায়ের দুখানি মোজা। তীব্র ঠান্ডা অনুভূতি অনেকটাই কমে যায়, পা যদি মোড়ানো থাকে মোজায়। যাঁদের পা ফাটার সমস্যা আছে, তাঁদের জন্যও মোজা খুব ভালো সমাধান। প্রয়োজন এবং স্টাইল দুটো বিষয়ই পাওয়া যাচ্ছে এখনকার মোজায়।

চল যেমন

রঙিন মোজা পছন্দ অনেকের

সুতি, নাইলন এবং লাইক্রা উপকরণের ওপর মোজার নকশা করা হয়েছে এবার বেশি। জমকালো ভাব আনতে লেস দেওয়া মোজাও বেশ চলছে। ঠিকঠাক পোশাকের রং এবং জুতার ধরন এখানে গুরুত্ব পাবে। অ্যান্টি–অডর মোজা, অর্থাৎ দুর্গন্ধহীন মোজা এখন পাওয়া যাচ্ছে, জানালেন লা রিভের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস। যাঁরা স্নিকারের সঙ্গে নিয়মিত মোজা পরেন, অনেক সময়ই তাঁদের পা কিংবা মোজা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, তাঁদের জন্য এই মোজা।

পশমের তৈরি ফ্লাফি মোজাও চলছে, কারণ, এই ধরনের মোজা বেশি আরামদায়ক, দেখতেও বেশ। তা ছাড়া খাটো উচ্চতার সুতি মোজা, সিল্কি গ্লসি মোজাও পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন পছন্দের শীর্ষে যেন লোফার । হালকা এই মোজা একটু বেশি শীতেও পরা যাবে।

গোড়ালির উচ্চতা

খাটো মোজায় স্টাইল ও আরাম–দুটোই পাওয়া যায়

যাঁরা পা দেখাতে চান, তাঁদের জন্য জুতসই খাটো মোজা। গোড়ালি পর্যন্ত মোজা বেশি চলছে এখন। দেখতেও স্মার্ট লাগে। লোফার কাটিংয়ের জুতা, বোট শু, ব্যালেরিনা জুতার সঙ্গে মানিয়ে যায় এই ধরনের মোজা।

সাধারণ উচ্চতা

কর্মক্ষেত্রে মোজার জন্য বেছে নিন হালকা নকশা

অফিস কিংবা আনুষ্ঠানিক কোথাও যাওয়ার জন্য সাধারণ উচ্চতার মোজা সবাই পছন্দ করেন। বেশি শীতেও এই মোজা আরাম দেবে। সুতি কাপড়ের ওপরই এই মোজা বেশি দেখা যায়।

অদৃশ্য উচ্চতা

জুতা পরলে এই মোজা আর দেখা যায না

এই ধরনের মোজা পরলেও চোখে ততটা দেখা যায় না। স্নিকারটাই দেখা যায় বেশি। তরুণেরা এই ধরনের মোজা পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্যই পাওয়া যায় এই মোজা। জুতার নামের সঙ্গে মিলিয়ে এখন মোজারও নামকরণ দেখা যাচ্ছে। একেবারেই খাটো উচ্চতার মোজাকে এখন লোফার মোজাও বলা হয়, যেটা জুতার নাম থেকে এসেছে। আবার খাটো মোজাকে বলা হচ্ছে ব্যালেরিনা মোজা, যা ব্যালেরিনা শুর নাম থেকে এসেছে।

রং নকশা

নকশায় রয়েছে ভিন্নতা

অনেক জায়গাতেই মিলবে রং নকশায় বাহারি মোজা। মোজাতে সুতার ওপরে বাক্স নকশা এ বছর নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নানা রকম মজার মজার চরিত্র ছাড়াও ডোরাকাটা, বল প্রিন্ট, কার্টুন, ফুল, জীবজন্তু ইত্যাদি নকশা হচ্ছে এখন।

বাজার ঘুরে

রাজধানীর বনানীর কয়েকটি আউটলেট ঘুরে দেখা গেল, মোজার সংগ্রহ কমবেশি সবারই বেশ ভালো। সুপার মল থেকে শুরু করে ফুটপাত, মোজা কিনতে পারবেন সব জায়গা থেকেই। আছে অনলাইনভিত্তিক দোকানও। দাম পড়বে ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।