নেইলপলিশ নখ সাজানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষঙ্গ। কিন্তু অনেকেই আছেন, যাঁরা নেইলপলিশের সাজ ‘দুই চোখে দেখতে পারেন না’। তাঁরাও পড়তে পারেন এই লেখা। কেননা, লেখাটির বিষয়, নেইলপলিশের অন্য ব্যবহার। মানে, নখের সৌন্দর্য বাড়ানোর বাইরে আর কী কী করা যেতে পারে ঘরে পড়ে থাকা এই নেইলপলিশ দিয়ে, তা নিয়েই এ আয়োজন।
প্রয়োজনীয় চাবিগুলো একসঙ্গে রাখার অনেক সুবিধা। হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে। আবার দরকারে সবগুলোকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। আবার অসুবিধাও আছে। দেখা গেল, দরজার লক তাড়াতাড়ি খুলে ঘরে ঢোকা দরকার, কিন্তু কোনটা যে ওই তালার চাবি, সেটাই আপনি বুঝতেই পারছেন না। এ জন্য দরজার চাবিতে লাল রঙের নেইলপলিশ দিন। আর আলমারিতে দিন সবুজ। এভাবে একেকটা চাবিতে একেক রঙের নেইলপলিশ লাগিয়ে চিহ্ন করে নিন। ব্যস, ঝামেলা মিটে গেল।
জুতার চামড়া একটুখানি উঠে গেছে? চিন্তা নেই। বাজারে নানা রঙের নেইলপলিশ পাওয়া যায়। ব্যাগের সঙ্গে মিলিয়ে কিনে নিন। তারপর জুতার রঙের নেইলপলিশ দিয়ে ছিলে যাওয়া অংশটুকু রং করে নিন। বিশেষভাবে খেয়াল না করলে খালি চোখে ধরা পড়ার আশঙ্কা কম। শুধু আপনিই জানবেন আপনার জুতার আসল খবর। ফ্রিজ, ব্যাগ বা ফ্যানের ক্ষেত্রেও এই বুদ্ধি কাজে লাগাতে পারেন।
গয়না কিছুদিন ঘরে রেখে দিলেই কেমন যেন পুরোনো হয়ে যায়। তাই শুরুতেই ওয়াটার কালারের নেইলপলিশ দিয়ে পলিশ করে নিতে পারেন দুল, চুরি বা ব্রেসলেট। তাতে গয়না দীর্ঘদিন থাকবে নতুনের মতো। গয়না নিয়ে আরেকটা কথা না বললেই নয়।
ধরুন, আপনি ওয়াইন রঙের শাড়ি পরেছেন। কিন্তু আপনার গলার সেটের পাথরের রং সবুজ। ওয়াইন রঙের নেইলপলিশ তো আছে নিশ্চয়ই। লাগিয়ে নিন। অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আবার রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন।
খামের মুখ বন্ধ করবেন? হাতের কাছে আঠা নেই? ক্লিয়ার নেইলপলিশ তো আছেই। লাগিয়ে দিন।
দেশলাইয়ের কাঠি জ্বলতেই চাইছে না? নেইলপলিশ যেভাবে নখে লাগান, ওভাবেই একটা কভার দিয়ে দিন। শুকিয়ে নিন। এবার দেখুন তো, জ্বলে কি না...
অনেক সময় আংটি পরলে মেটালের দাগ পড়ে যায়। পরার আগে আংটিতে একটু ক্লিয়ার নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। দেখবেন দাগ আর পড়বে না।
দেয়াল বা ফুলের টবটা ইচ্ছেমতো এঁকে নিতে পারেন নেইলপলিশ দিয়ে। এমনকি একটা সুন্দর পেইন্টিংও হতে পারে ঘরে জমে থাকা নেইলপলিশ দিয়ে।