নুহাশের বৈশাখ মানেই পাঞ্জাবি

পয়লা বৈশাখে নুহাশ হুমায়ূন ভালোবাসেন পাঞ্জাবি পরতে। পাঞ্জাবি: মেনজ ক্লাব, ছবি: কবির হোসেন
পয়লা বৈশাখে নুহাশ হুমায়ূন ভালোবাসেন পাঞ্জাবি পরতে। পাঞ্জাবি: মেনজ ক্লাব, ছবি: কবির হোসেন

খুব কম সময়ই পাঞ্জাবি পরেন নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন । কালেভদ্রে দেখা মেলে বলা যায়। তবে তিনটা বিশেষ দিন আছে, যে দিনগুলোতে তিনি পাঞ্জাবি পরবেনই। এক হচ্ছে দুই ঈদে, আরেকটা হলো পয়লা বৈশাখের দিন। তাঁর এই অভ্যাস তৈরি হয়েছে অবশ্য তাঁর মা গুলতেকিন খানের কল্যাণে। এই বিশেষ দিনগুলোতে মা-ই তাঁকে পাঞ্জাবি উপহার দেন।

সুতির পাঞ্জাবিতে টেম্পো নকশা। পাঞ্জাবি: টুয়েলভ

নুহাশ বলেন, ‘আমি প্রতিবারই মাকে বলি, মা, তুমি আমাকে আর পাঞ্জাবি কিনে দিয়ো না। কিন্তু মায়ের একই কথা, “পয়লা বৈশাখ আসছে, তোমার পাঞ্জাবি লাগবে।” তো আমি না চাইলেও এটা আমার নির্ধারিত গিফট। তাই আমিও সানন্দে পরি।’

নুহাশের পয়লা বৈশাখের দিন কাটে পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে। যদিও এই কাজটা এখন খুব একটা সহজ নয় নুহাশের জন্য। কারণ, তিনি থাকেন মায়ের সঙ্গে আর বোনেরা থাকেন একেকজন একেক জায়গায়। এদিন সরাসরি সবাইকে না পেলেও প্রযুক্তি দিয়ে তাঁদের কাছাকাছি নিয়ে আসেন। স্কাইপ বা অন্য কোনো মাধ্যমে সবাই একত্র হন। শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নতুন বছরের প্রথম দিন একটা সময় বের করে বেরিয়ে পড়েন বন্ধুদের সঙ্গে। আড্ডা আর ঘোরাঘুরি তো করেনই, দল বেঁধে বাইরে (রেস্তোরাঁয়) খেতে যান। ঘোরাঘুরির এই সময়টা নুহাশের সবচেয়ে ভালো লাগে, তাঁর ভাষায়, ‘চারদিকে এত কালার (রং) দেখি যে মনটা এমনিতে ভালো হয়ে যায়।’ হাসতে হাসতে যোগ করেন, ‘যদিও আমি কালার ব্লাইন্ড!’

রঙের ছিটা দেওয়া পাঞ্জাবি এবারও চলবে। পাঞ্জাবি: সারা লাইফ স্টাইল, স্থান: নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ পছন্দ নেই। কারণ, ধারা তো প্রতিবছরই পরিবর্তন হয়। নুহাশ মনে করেন, বৈশাখে ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবির বিকল্প ভাবা কঠিন। তবে সেটা যতটা সাধারণ হয়, ততই ভালো।

দেশের বাইরে গেলেও নুহাশের ব্যাগে ঢুকে যায় একটা পাঞ্জাবি। তরুণ এই নির্মাতা বলেন, ‘পশ্চিমা সংস্কৃতিতে একটা ছেলে স্যুট পরলেই যেমন একটা ভাব চলে আসে, আমাদের ক্ষেত্রে সেটা ঘটে পাঞ্জাবিতে। পোশাকটাকে খুব আপন আপন লাগে। বাঙালিমাত্রই এই অনুভূতি হয় বলে আমার ধারণা।’

যেখানে যেমন পাঞ্জাবি মানানসই, সেখানে তেমনটাই পরেন। কাপড় হিসেবেও কোনো বাছবিচার নেই। তবে আরামদায়ক আর সাদামাটা পাঞ্জাবিই বেশি ভালোবাসেন নুহাশ।