ঈদুল আজহা সামনে। সাধারণত এই ঈদে ফ্যাশন বাজারের রকমারি পোশাকের সংগ্রহ দেখা যায় না। তবুও অনেকেই কেনেন নতুন পাঞ্জাবি। করোনাকাল এখনো আছে, তবু ঈদুল ফিতরের চেয়ে শপিং মল আর দোকানপাট খুলেছে বেশি। আর ফ্যাশন হাউসগুলোর অনলাইন বেচাকেনা তো চলছেই।
ফ্যাশন হাউসগুলোতে নতুন নকশার পাঞ্জাবি এসেছে। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সুতি কাপড়ে তৈরি পাঞ্জাবির সংগ্রহই বেশি দেখা যাচ্ছে সেখানে। আর ঈদ উপলক্ষে পাঞ্জাবিতে যুক্ত হচ্ছে নানা ধরনের ইসলামিক মোটিফের নকশা। অনেক দোকানে ঈদের পাঞ্জাবি কেনা যাবে বিশেষ ছাড়ে। প্রতিষ্ঠিত প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসের পাঞ্জাবি কেনা যাবে অনলাইনের মাধ্যমেও। তাই বাইরে না বেরিয়েও বিশেষ দিনের জন্য কেনা যাবে পাঞ্জাবি। বাজারে পাঞ্জাবি কেনা যাবে ৭৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যেই।
ঈদের পাঞ্জাবি পাবেন আড়ং, লুবনান, লা রিভ, ওটু, সেইলর, ক্যাটস আই, সারা, এক্সট্যাসি, ইনফিনিটি, গ্রামীণ ইউনিক্লো, রঙ বাংলাদেশ, কে ক্র্যাফট, অঞ্জনস, দেশাল, সাদাকালো, বিশ্বরঙ, র নেশন, ক্লাব হাউস, ইজি, প্রবর্তনা, অরণ্য, ইয়েলো, টুয়েলভ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
এ ছাড়া ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, নিউমার্কেট, সীমান্ত স্কয়ার, এলিফ্যান্ট রোড, আজিজ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে পাবেন পাঞ্জাবি।
১.
কালচে সবুজাভ রঙের এই পাঞ্জাবিতে পাতার নকশা আঁকা। হাতার শেষভাগে ও বাটন প্লেটে আলাদা কাপড়ে প্যাচ ওয়ার্ক বাড়িয়েছে সৌন্দর্য। তরুণদের উপযোগী এই পাঞ্জাবি বানানো হয়েছে স্লিমফিট ধাঁচে। পাঞ্জাবি: সেইলর
২.
ষাটের দশকের প্রভাব আছে এই ছাইরঙা পাঞ্জাবিতে। কাঠের বোতামের সঙ্গে বাটনপ্লেট আর বুক পকেটে ভিন্ন কাপড়ের প্যাচ ওয়ার্ক। পুরোপুরি গিজা সুতি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে এই পাঞ্জাবিতে। পোশাক: সেইলর
৩.
জ্যাকার্ড তাঁতে বোনা পাতলা কাপড়ের এই পাঞ্জাবি গরমে আরাম দেবে। হালকা রং, ডিজাইন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ইসলামিক আর্ট। পাঞ্জাবি: সেইলর
রয়েল ব্লু রঙের এই পাঞ্জাবির কাপড়টি এই সময়ের জন্য আরামদায়ক। লিনেন কাপড়ে স্কিন প্রিন্ট ও প্যাচ ওয়ার্ক। সেমি লং কাটের আলপনার নকশা করা এই পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা পায়জামা পরে থাকা যাবে ফুরফুরে মেজাজে। মডেল: অর্ণব, পাঞ্জাবি: রঙ বাংলাদেশ, ছবি: সুমন ইউসুফ
মেরুন রঙের পাঞ্জাবি তৈরি হয়েছে লিনেন কাপড়ে। স্ক্রিন প্রিন্টে ইসলামিক আর্টের অনুপ্রেরণায় ফুটে উঠেছে নকশা। বোতামে কাঠের ব্যবহার পাঞ্জাবিতে এনেছে ভিন্নতা। পাঞ্জাবি: রঙ বাংলাদেশ