ঈদ শেষ। এ বছরের মতো। এবারের ঈদ বস্তুত ছিল রোদনভরা। শেষ ইফতারের পর ছিল না চাঁদ দেখার উচ্ছ্বাস। পাওয়া যায়নি চাঁদ দেখার আনন্দে ফোটানো বাজির আওয়াজ। এমনকি প্রতিবারের মতো রমজানের রোজার শেষে খুশির সওগাত নিয়ে নজরুল হাজির থাকলেও দোলা দেয়নি কাউকে। পাওয়া যায়নি চাঁদরাতের সেই উচ্ছল ঢাকাকে। বরং সন্ধ্যা নামতেই নিঝুমপুরীতে পরিণত হয়েছিল রাজধানী।
এবারের ঈদকে বলা যেতে পারে ছন্দপতনের ঈদ। সকালে মসজিদে যাওয়ার তাড়া ছিল না। ছিল না কোলাকুলি, করমর্দন আর নতুন পোশাক পরার তাগিদ। ম্রিয়মাণ উৎসব কেটেছে সবার। এ দৃশ্য বোধ করি সারা বিশ্বেরই।
রোজা কোথা দিয়ে চলে গেল, সেটা টের পাওয়া যায়নি। ঈদও তাই আলাদা করে কোনো খুশির বার্তা বয়ে আনেনি।
সব দেশের রোজায় থাকে কিছু সিগনেচার বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশেরও। ইফতার পার্টি একটা পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু এবার সেটা হতে পারেনি। একদিক থেকে অবশ্য মঙ্গল হয়েছে। কারণ অনেক অপচয় বন্ধ হয়েছে। তবে রেস্তোরাঁগুলো ব্যবসা হারিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার বিখ্যাত সব পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে নগরবাসী আর রোজা হারিয়েছে চিরাচরিত আমেজ।
আবার কয়েক বছর হলো ঢাকায় শুরু হয়েছিল সাহরি পার্টি। বন্ধু বা পরিচিতজনদের জমায়েতে শেষ রাত গুলজার হতো। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তের রেস্তোরাঁগুলোও হয়ে উঠত সরগরম। এবার সে সুযোগ মেলেনি। তাতে কেবল আনন্দ বিনষ্ট নয়, ব্যবসাও যে নষ্ট হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঢাকার কিছু এলাকার শপিং ট্রেন্ডও বদলে যেতে দেখা যাচ্ছিল গত কয়েক বছরে। ইফতারের পর তারাবিহ পড়ে রাতের খাবার সেরে শপিং করতে বেরোতেন অনেকে, সপরিবারে। এই সময় ছিল নিশাচর নগরবাসীর নৈশ কেনাকাটা।
এবারের ঈদ শপিংয়ে পরিচিত দৃশ্য একেবারেই ছিল না। সবকিছু বন্ধ থাকার পর ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিপণিবিতান ও দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও বিপণিবিতানগুলোর বেশির ভাগই খোলেনি। ফলে দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোও তাদের সব শাখা খুলতে পারেনি। যেগুলো খুলেছিল, সেগুলোর সামনেও ছিল না গাড়ির লাইন। সুপার মলগুলো বন্ধ ছিল, ফলে দেখা মেলেনি মানুষের ঢল। অদ্ভুত এক নিরানন্দ, উদযাপনহীন ঈদ নিয়ে ভাবতে ভাবতে পুরোনো দিনের স্মৃতিরা ভিড় করে আসে।
ঢাকায় শপিংয়ের কেন্দ্র বদল হয়েছে সময়ে সময়ে। একটা সময় কেবল নিউমার্কেটই ছিল ভরসা। সেখান থেকে মৌচাক মার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা থেকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল হয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক। সময়ের সঙ্গে অভিযোজিত হয়েছে নগরবাসী। এর মধ্যে আবার বিভিন্ন এলাকায়ও গড়ে উঠেছে আধুনিক শপিং মল। ফলে ছড়িয়েছে কেনাকাটা। ফ্যাশন হাউসগুলোর নিজস্ব আউটলেট মাত্রা যোগ করেছে ক্রমেই। ২০০৯ সালে এক ছাদের নিচে ১০টি ব্রান্ডের সহাবস্থান বদলে দেয় ঢাকার শপিং ট্রেন্ড। শুরু হয় দেশি দশ ক্রেজ।
ফ্যাশন আর যাপন নিয়ে সাংবাদিকতার কারণে এই শিল্প খাতকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। পরিবর্তন আর রূপান্তরও দৃষ্টি এড়ায়নি। তবে এই খাতের সঙ্গে গত আড়াই দশকের সম্পর্কে এমন পরিস্থিতি অবলোকনের দুর্ভাগ্য এর আগে হয়নি কখনো।
বরং দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ক্রমেই বাঙালির রুচি তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। ১৯৮০ সালে শুরু আড়ং, ’৮৫ সালে ক্যাটস আই আর ’৮৮ সালের টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির মধ্য আর উচ্চবিত্তের যাপনকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। সোবহানবাগের ছোট্ট শো-রুম থেকে ১৯৮৭ সালে ৫ ফ্লোরের বিশাল পরিসর নিয়ে আসাদগেট আড়ং নগরবাসীকে কেবল চমকেই দেয়নি, বরং পণ্যের বৈচিত্র্যে দিয়েছে ভালো লাগা আর মুগ্ধতা। সঙ্গে কেনাকাটার নতুন অভিজ্ঞতাও। কানাডাফেরত তরুণ দম্পতির ছোট্ট পরিসর গ্রিন সুপার মার্কেটে। সেখানে কিছু ক্যাসেটের সঙ্গে টি-শার্ট। তার পরের পুরোটাই ইতিহাস। প্রজন্মান্তর ঘটেছে ক্যাটস আইয়ের ব্যবস্থাপনা থেকে ক্রেতা। শাড়ির পুনরুজ্জীবনে টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির রেখেছে অবদান।
আর এই যাত্রায় অগ্রপথিক হিসেবে রয়ে গেছে নিপুণ। প্রয়াত ‘বিচিত্রা’ সম্পাদকের দেওয়া ‘ফ্যাশনের নিপুণ কারিগর’ ট্যাগলাইনকে সঙ্গে নিয়ে।
‘বিচিত্রা’র প্রসঙ্গ যখন এল, তখন বলতেই হবে বাঙালির ঈদকে উৎসবমুখর করতে বিচিত্রার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা থেকে ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতা, আধুনিকতার পথপ্রদর্শক। সেই পথেই এগিয়ে আজকের অবস্থানে বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি।
ফেরা যাক ঈদ প্রসঙ্গে। এই সময়ে জমজমাট অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হতো। পত্রিকায় ছাপা হতো সেসব ছবি। ম্যাগাজিন হাতে নিয়ে দোকানে গিয়ে ছবির সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক কেনার হিড়িক ছিল। পাঞ্জাবি কেনার জন্য তখন একটাই ব্র্যান্ড, আড়ং। রীতিমতো স্ট্যাটাস সিম্বল। পাঞ্জাবি কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে করতে হতো দীর্ঘ অপেক্ষা। মুরব্বিদের পাঞ্জাবির জন্য তখন আড়ংই ভরসা। কেনাকাটার দায়িত্ব বাবা-মায়েরাই পালন করতেন। নব্বইয়ের শেষের দিকে এসে সেখানেও প্রজন্মান্তর। ছেলেমেয়েরাই হয়ে উঠলেন ডিসিশন মেকার। বাবা কী পরবেন বা মা, সেটা তাঁরাই ঠিক করে দেওয়া শুরু করলেন।
মাঝ-নব্বইতে ঢাকার মালিবাগে যখন জন্মাচ্ছে কে ক্র্যাফট, অঞ্জন’স আর ওজি, নারায়ণগঞ্জে তখন রঙ। এই ত্রয়ীর মালিবাগ থেকে সোবহানবাগ যেতে লেগে যায় চার বছর। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারি মাসে শাখা ছড়ানো। একসঙ্গে তিনটি প্রতিষ্ঠান—ছোট ছোট তিনটি আউটলেট, গায়ে গায়ে। সেগুলো এখনো আছে। তবে ওজি নেই। ঈদের সময় এই আউটলেটগুলোয় ৫ জন করে ঢুকতে দেওয়া হতো। দৈনন্দিন কাজের শেষে রাতে গিয়ে ফুটপাতে আড্ডার ফাঁকে দেখেছি তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।
এর কাছাকাছি সময়ে গ্রামীণ উদ্যোগ একদল উদ্যমীকে নিয়ে শুরু করে নতুন পথচলা। মিরপুর ২ নম্বরে সনি সিনেমা হলের নিচে খোলে আউটলেট। প্রথম বছরে মার মার কাট কাট। ঈদের সময় ডিজাইনার এমদাদ হকের ডিজাইন করা পাঞ্জাবি নিয়ে তেলেসমাতি। সন্ধ্যায় গিয়ে এমদাদের সঙ্গে ভ্যানের ওপরে বসে গল্প করতে করতে দেখেছি, সেই পাঞ্জাবির জন্য ক্রেতাদের পাগলপারা দশা।
এর বছর দুয়েকের মধ্যে একই দৃশ্যের অবতারণা হয় বনানী ১১ নম্বর রোডে। ২০০১ সালের আগে এটা ছিল নিতান্ত নিস্তরঙ্গ আবাসিক এলাকার একটি আলো-আঁধারি রাস্তা। কিন্তু গ্রামীণ উদ্যোগ থেকে বেরিয়ে এসে সেই দলটিই যখন বাংলার মেলা শুরু করে এই সড়কে, তখন তা রীতিমতো হ্যাপেনিং প্লেসে পরিণত হয়। শান্ত আবাসিক এলাকাটি হঠাৎ করেই হয়ে ওঠে মুখর। ভোজবাজির মতোই বদলে যায় চারপাশ। রোজার মধ্যে অনেক সন্ধ্যা গড়ানো রাতে উপস্থিতির অভিজ্ঞতায় দেখা হয়েছে দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ।
সমসময়ে দুটো রং নিয়ে ফ্যাশন হাউস সাদাকালোর অভিযাত্রা ফ্যাশনের পরিমণ্ডলে যোগ করে নতুন মাত্রা।
উদাহরণ এমন অনেকই দেওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে তরুণদের রুচির বদল হয়েছে। ভুবনগ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় অনেক কিছুই জানছেন তাঁরা। নিজেদের পছন্দমতো যেসব প্রতিষ্ঠান পণ্য তৈরি করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিই তারুণ্য আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইয়েলোর কথা বলতেই হবে। সেই সরণিতে যোগ হয়েছে লা রিভ। পরে আরও এসেছে সেইলর, নয়্যার, জেন্টলপার্কসহ অন্যরাও। তরুণদের ভিড় এসব ব্র্যান্ডে।
কিন্তু এসব দৃশ্য এবার কেবলই ছবি। কারণ ঢাকায় আউটলেট খোলা থাকলেও ক্রেতা ছিল না। ছিল না ঈদের পোশাক কেনার সেই হুজুগ। বরং বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের কর্ণধারদের সঙ্গে কথা বলে হতাশার চিত্রই স্পষ্ট হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব আউটলেট কারও পক্ষেই খোলা সম্ভব হয়নি। ঢাকায় সুপার মলগুলো বন্ধ থাকায় একক শাখাগুলোই খুলেছে। আবার প্রতিটি আউটলেট খোলা রাখতে গিয়ে চেপেছে অতিরিক্ত ওভারহেড। বিক্রির পরিমাণ ঠিক থাকলে হয়তো এই ব্যয় গায়ে লাগত না। এমন মন্তব্য এক উদ্যোক্তার। কিন্তু সেটা হয়নি।
গড়পড়তা ক্রেতার সংখ্যা ও তাঁদের কেনাকাটার পরিমাণ সবার জন্য আশা জাগায়নি। খুব প্রয়োজন ছাড়া অনেকে কিছুই কেনেননি এবার। এমনকি স্বাভাবিক সময়ে ঈদে প্রচুর উপহারসামগ্রী কেনা হলেও এবার সেটা হয়নি। কারণ, যাঁকে দেওয়া হবে, তিনি কীভাবে নেবেন, আদৌ নেবেন কি না, এসব মাথায় রাখার পাশাপাশি পকেটের কথাও ভেবেছেন ক্রেতারা।
তবে এই অবস্থাকে ভবিষ্যতের জন্য মহড়া হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘ক্রেতাদের যেমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তাঁদের চাহিদা মেটানোর প্রক্রিয়ায় আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। এসবই সামনের দিনগুলোয় কাজে আসবে।’ তবে সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলে হয়তো আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ আউটলেটগুলোতে আসতে পারতেন বলেই অভিমত কারও কারও।
ই-কমার্স নিয়ে গত চার-পাঁচ বছরে খুব এটা কাজ হয়েছে, তা বলা যাবে না। বরং ধীরে চলো নীতিতেই সবাই এগোচ্ছিলেন। ফলে সরাসরি বিক্রির তুলনায় অনলাইনে বিক্রি ছিল একেবারে নগণ্য। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধিতে আশাবাদী উদ্যোক্তার অভিমত, ক্রেতার মনোভাব বদল হচ্ছে। আগে যাঁরা এভাবে কিনতেন না, তাঁরাও অনলাইনে অর্ডার করছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেও অনেক কিছু স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে। তবে স্বীকার করেছেন, প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকায় সুফল যতটা পাওয়া সম্ভব ছিল ততটা আসেনি।
চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সম্পর্ক চিরকালীন। এবার সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। কারণ সরবরাহের কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা অর্ডারের চাপে দিশেহারা ছিলেন। অর্থাৎ পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব যাঁরা পালন করে থাকেন, তাঁদের ওপরও ছিল অনেক চাপ। অনেক অর্ডার ঈদের আগে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি বলেও জানা গেছে। প্রতিকূল এই পরিস্থিতি দিকনির্দেশক হচ্ছে ভবিষ্যৎ সুযোগের। করোনাকালীন কার্যক্রমের আলোকে সৃষ্ট প্রেক্ষাপটই হবে ভবিষ্যতে সুফল তোলার অনুঘটক। তবে তার জন্য ষোলোআনা প্রস্তুতি থাকতে হবে।
এভাবেই হতাশার মধ্যে আলোকরেখা খোঁজার চেষ্টায় যখন দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কুশীলবেরা, তখন একপ্রকার হাত গুটিয়ে বসে আছেন রূপসদনের উদ্যোক্তারা। বৈশাখের পর হাতছাড়া হলো ঈদও। অন্য সময় রোজার শেষ সপ্তাহ থেকেই থাকত সেবাগ্রহীতাদের দীর্ঘ লাইন; কিন্তু এবার তাঁরা আউটলেটই খুলতে পারেননি। ছিল না চাঁদরাতে মেহেদি পরার ধুম। এদিকে ১৪টি নিয়ম সংবলিত সরকারি নির্দেশনা পেলেও পারলার বা নারী ও পুরুষদের স্যালন খোলার সিদ্ধান্ত এখনো কেউ নিয়ে উঠতে পারেননি। কারণ, প্রতিষ্ঠান খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে চাপবে অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা।
ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি কিংবা বিউটি ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক আয়ের সবচেয়ে বড় উপলক্ষ ঈদ এবার কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির আয় শতকরা কী পরিমাণ হয়েছে, সে হিসাব এখনো মেলানো সম্ভব হয়নি। এমনকি অতিরিক্ত ব্যয়ের নিরিখে এই আয় কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে, সেটাও বলা যাচ্ছে না।
লোকবল সংকোচন, প্রতিষ্ঠান পরিচালন ব্যয়ে রাশ টানা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন হ্রাসের মতো নানা বিষয় নিয়ে ভাবছেন উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি উভয় শিল্প খাতেই কর্মচারীদের বেতন, ভবিষ্যতে ব্যবসা চালানোর পুঁজির সংস্থানের মতো আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবনা অতএব থেকেই যাচ্ছে। আর সেটা হলো নয়া স্বাভাবিকতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।