বাঙালি ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জার মধ্যে যা কিছু জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, তার অন্যতম হলো নাকফুল। নানা কারণে বাঙালি নারীরা নাক ফুটিয়ে সেখানে নানা রকম গয়না পরার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পথ হারানো রাতে শুকতারার মতোই স্বমহিমায় ঝিকমিক করে ওঠা কিশোয়ার চৌধুরীর নাকফুলের ঝিলিক যেন হাজারো বাঙালি নারীকে নাকফুল নিয়ে স্মৃতিকাতর করে তুলল।
কিশোয়ার চৌধুরীর বাঁ নাকে হিরের যে ছোট নাকফুলটি সবার নজর কেড়েছে, এ রকম বিভিন্ন সাইজ ও কাটের হিরে এবং হিরে সদৃশ জারকন বা আমেরিকান ডায়মন্ড দিয়েও ঝিকমিকে নাকফুল বা নোজ পিন সবারই পছন্দের শীর্ষে। আত্মবিশ্বাসী, নিজের আলোয় উজ্জ্বল কিশোয়ারের মায়াকাড়া হাসি, কাজলের টানে আবেগি টলটলে চোখের সঙ্গে সবারই নজর কেড়েছে তাঁর ছোট্ট, ঝিকমিক করা নাকফুলের ঝিলিক। আবহমান বাংলায় বহু যুগ ধরেই নারীরা নিজেদের নাক আর মুখ সাজিয়েছে নাকফুল, নাকছাবি, নোলক, নথ—এসব অলংকারে। তবে কিশোয়ারের জনপ্রিয়তা এই নাকে পরার অলংকারের প্রতি আবারও নতুন করে আগ্রহী করে তুলছে বাঙালিকে।
নাকফুল হোক বা নাকের বিভিন্ন ধরনের গয়না, যুগ যুগ ধরে এই অলংকারগুলো নারীর সৌন্দর্যবর্ধন করেছে। তাদের স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করেছে। কিশোয়ার চৌধুরীর আত্মবিশ্বাস, অন্তর্গত শক্তি, শাশ্বত মাতৃত্ব আর নারীশক্তির অবিচল প্রকাশ বহু বাঙালি নারীকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদেরকে নিজের পরিচয় আর কর্মের প্রতি বিশ্বাস রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। কিশোয়ারের নাকফুলের ঝিলিক তাদের সবার নাকে ঝিকমিক করে উঠুক, আপন আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠুক দেশ ও বিশ্বের বাঙালি নারীরা।
রান্নার জাদুতে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকদের তাক লাগিয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই রন্ধনশিল্পী ভিনদেশি প্রতিযোগিতায় হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ। সেখানে তিনি দেশীয় আবেগকে সঙ্গী করে মূলত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার রান্না করে মন জয় করে নেন বাংলাদেশের মানুষ আর মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকদের। কিন্তু খাবারের বাইরে আলাদা করে আলোচনায় এসেছে কিশোয়ারের নাকফুল। জনপ্রিয় এই রন্ধনশিল্পীর জনপ্রিয়তার সঙ্গী হয়েছে তাঁর নাকফুলও, যা বাংলাদেশি নারীদের ঐতিহ্যবাহী সজ্জার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। আর নতুন করে আলোচনায় এনেছে নাকফুলকে।