হলুদ পাতার রাশি ঝরিয়ে মাথা তুলেছে কচি কুঁড়ির দল। মৃদুমন্দ বাতাসে সরে গেছে মাঘের কুয়াশা, ফুলেল আবরণে সেজে এসেছে বসন্ত। এমন ঝলমলে আলোর দিনে যাঁরা বসন্ত বরণে বের হবেন, তাঁদের খুশির ছটা ছড়িয়ে পড়ুক সাজে। দেখে নিন এই বছরের ফাল্গুনী সাজের একঝলক।
কথা হচ্ছিল বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের প্রধান রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচির সঙ্গে। জানালেন, সব সময়ের সাজের মতো নয় অবশ্যই। সেটা কেমন? এই যেমন ফাল্গুনের শুরুতে নতুন পাতার যে রং, তেমনই স্নিগ্ধ সাজ ভালো লাগবে ফাল্গুনে। মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন সবার আগে। মিনিট দশেক পর প্রাইমার, সেটি রাখতে হবে অন্তত মিনিট ১৫। মুখে কোনো দাগ থাকলে কারেক্টর বা কনসিলার লাগিয়ে নিতে পারেন। তারপর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন হালকা করে। এরপর ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লাগান লুজ বা ফেসিয়াল পাউডার। একই সঙ্গে দরকার কপাল, চিবুক আর গালের ভাঁজে কন্ট্যুর করা। এতে মেকআপের কৃত্রিম ভাবটা কেটে যাবে।
চোখে ন্যুড ব্রাউন শ্যাডো, কালো কাজল, মোটা করে টানা লাইনার আর প্রচুর পরিমাণে মাশকারা। ঠোঁটে থাকুক ন্যুড ঘরানার পিচ, কমলা, বাদামি কিংবা গোলাপি লিপস্টিক। চাইলে লাল লিপস্টিকও ব্যবহার করতে পারেন। থাকুক ফুল একটা খোঁপায় কিংবা এলোমেলো খোলা চুলে। ফাল্গুনে এই–ই যথেষ্ট। অনেকক্ষণ বাইরে থাকার পরিকল্পনা থাকলে মুখ পরিষ্কার করে নিন কয়েক ঘণ্টা পরপর। সঙ্গে রাখুন ওয়াইপস। মুখ মোছার কাজটি সহজ হবে।
কচি আরও যোগ করলেন, সন্ধ্যার সাজে উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও সবুজের সঙ্গে বিপরীত রঙের শ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখে কমলা ছাইয়ের স্মোকি সাজ করতে পারেন। ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি অ্যাক্রিলিক ব্রোঞ্জ বা ত্বকের সঙ্গে মেলানো শিমারের ছোঁয়া রাখুন। ঠোঁটে একটু হালকা বেগুনির ছোঁয়া আর কানের পাশে আলতো করে গোঁজা ফুল। ব্যাস, এতেই আপনি এই ঋতুরাজের রাজকন্যা।