মেয়েশিশুদের জন্য ফ্রকের চল বরাবরই ছিল, এখনো আছে। উৎসব ঘিরে এবার ফ্রকে দেখা যাবে নানা রকম ডিজাইন।
উৎসবে শিশুর চলাফেরা, খেলাধুলা বেড়ে যায়। তাই শিশু যেন পোশাকের ভারে হাঁপিয়ে না ওঠে, সেদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। গরম বিবেচনায় সুতি ফ্রকের প্রাধান্য থাকবে। নকশায় বাহার আনতে হাতা ও গলায় ছোট ছোট কুঁচি দেখা যাবে। সাধারণ ডিজাইনের সঙ্গে ‘এ লাইন’ আকারটাও থাকবে। আনারকলি ধাঁচেও দেখা যাবে ফ্রক। সুতির ফ্রকগুলোতে ব্লক, এমব্রয়ডারি, সুতার কাজ করা হয়েছে এবার।
শিশুদের জমকালো পোশাকের সংগ্রহে দেখা যাবে পশ্চিমা ধাঁচ। ফ্রক প্যাটার্নে নানা রকম গাউন নজর কাড়বে, জানালেন শৈশবের সিইও সাকিব চৌধুরী। মুক্তা, পুঁতি, জরি, জারদৌসি, পাথরের কাজে ঝলমলে হয়ে উঠবে ফ্রকগুলো। হাতাবিহীন, ছোট হাতা, মাঝারি হাতার সংমিশ্রণ দেখা যাবে। এবার গলার প্যাটার্নে ততটা বৈচিত্র্য নেই। থাকছে গোল গলা, তিনকোনা গলা, চারকোনা গলা।
শিশুদের ফ্যাশনেবল ফ্রকে এবার ব্যবহার করা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন উপকরণ। জমকালো ফ্রকে ব্যবহার করা হয়েছে র সিল্ক, হাফ সিল্ক, সামু সিল্ক, জর্জেট, ক্রেপ জর্জেট। দাওয়াতের ফ্রকগুলোর নিচটা ক্যান ক্যান দিয়ে ফোলানো। ফোলানো এই পোশাক উৎসবে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। তবে সুতির ফ্রকও পিছিয়ে নেই। সুতির ফ্রকগুলোতে রঙিন ছাপা নকশায় শোভা পাবে ফুল, ঘাস, লতা, পাতা, প্রকৃতির সবুজ অনুষঙ্গ, জানালেন সারা লাইফস্টাইলের প্রধান ডিজাইনার শামীম রহমান।
শিশুদের পোশাক রঙিন না হলে কি চলে? নানা রঙের আবহে রাঙানো হয়েছে এবার ফ্রক। সুতি, ভিসকস আর লিনেনে দেখা যাবে লাল, বেগুনি, সবুজ, হলুদ, টিয়া, গোলাপি, আকাশি, কমলা। জমকালো পোশাকের রঙে প্রাধান্য পাচ্ছে ছাই রং, চাপা সাদা, পেস্ট, বেবি পিংক, খয়েরি, সি গ্রিন, সোনালি, রুপালি ইত্যাদি।