>
এই সময়ে পোশাকে থাকা চাই আরাম। যে কারণে হয়তো ঘুরেফিরে গায়ে উঠছে পাতলা শার্ট বা টি-শার্ট আর নরম কাপড়ের কোনো প্যান্ট। তরুণদের বেলায় আরামের পোশাকের সঙ্গে একটু ফ্যাশনও যোগ হতে পারে—কাট, ছাপা কিংবা নকশায়।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবারই সময় কাটছে ঘরে। তরুণদের বেলাতেও তা–ই। দুই জোড়া পোশাকই হয়তো ঘুরেফিরে পরছেন অনেকে। এই সময়ে ঘরের পোশাকে থাকা চাই আরাম। যে কারণে হয়তো ঘুরেফিরে গায়ে উঠছে পাতলা শার্ট বা টি-শার্ট আর নরম কাপড়ের কোনো প্যান্ট। ঘরে পরার পোশাকের মজাই তো এটা! সঙ্গে পোশাকগুলো হতে পারে ফ্যাশনেবল। ক্ষতি তো নেই!
একই কথা ফ্যাশন ডিজাইনারদেরও। ওটুর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার জাফর ইকবাল মনে করেন, ঘরের পোশাকে আরামই আসল। তাই জরি, পুঁতির কাজ বা লম্বা হাতার ভারী পোশাক এই সময়ের জন্য না। ঘরে সাধারণত সুতির পাতলা পোশাকই বেছে নেওয়া ভালো। তবে করোনার এই সময়ে অনেককেই বাসায় থেকে অফিস বা ক্লাস করতে হয়। ভিডিও মিটিং হলে পোশাক যেন পরিপাটি থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
ঘরের পোশাকের মধ্যে এখন বেশি চলছে পাতলা ফিনফিনে টি-শার্ট, পলো শার্ট, খাটো হাতার (হাফ হাতা) শার্ট, থ্রি–কোয়ার্টার প্যান্ট, নরম কাপড়ের ট্রাউজার, পায়জামা ইত্যাদি। বেশ কয়েকটি ফ্যাশন হাউসের অনলাইন কেনাকাটার তথ্য থেকে জানা গেল, ট্রাউজারের পাশাপাশি অনেকেই বাসায় পরার জন্য পায়জামা কিনছেন। যা সাধারণত পাঞ্জাবির সঙ্গে পরতে দেখা যায়।
গোল গলার হালকা রঙের টি-শার্ট পরার পরামর্শ দিচ্ছেন ফ্যাশন পরামর্শক শাহরুখ আমিন। সুতি ও নরম কাপড়ের এসব টি-শার্টে নানা রকম প্রিন্ট বা মোটা অক্ষরের লেখা না থাকাই ভালো। এতে বাতাস চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই সবচেয়ে ভালো হালকা একরঙা টি-শার্ট বেছে নেওয়া।
ঘরে পরার জন্য এমন কিছু ট্রাউজার পাওয়া যায়, যেগুলোর কোমরের দিকে ফিতা বা ইলাস্টিক থাকে। নিচের দিকটা জগারের মতো, এসব ট্রাউজার বাসার জন্য আরামদায়ক হবে। তবে আরাম দেবে খাটো বা থ্রি–কোয়ার্টার প্যান্ট। নানা রকম ছাপা নকশার সুতি ও লিনেন কাপড়ের শার্ট বাড়িতে পরার উপযোগী। পলো শার্টেও আরাম মিলবে। খুব আঁটোসাঁটো কিছু না পরে ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিতে হবে বাড়িতে পরার জন্য।