আইইএলটিএসে ‘রিটেক’ সুবিধা কীভাবে কাজে লাগাব

মডেল: নীলাঞ্জনা
ছবি: প্রথম আলো

‘ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম’ সংক্ষেপে আইইএলটিএস নামে পরিচিত। বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা, অভিবাসন, ভিসা কিংবা চাকরির আবেদনে পূর্বশর্ত হিসেবে আইইএলটিএস স্কোর গ্রহণ করা হয়।
সম্প্রতি আইইএলটিএসে চালু হয়েছে ‘ওয়ান স্কিল রিটেক’ নামে একটি নতুন সুবিধা। অর্থাৎ রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং, লিসেনিং—চারটি মডিউলের মধ্যে যেকোনো একটি পরীক্ষা পুনরায় দেওয়ার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। যদিও এ নিয়ে এখনো পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি। রিটেক দিতে হলে ফি কত হবে, কিংবা যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইইএলটিএসের গ্রহণযোগ্যতা আছে, সবাই ‘রিটেক স্কোর’ গ্রহণ করবে কি না, তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন আছে। তবে এই সুবিধা শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক হবে বলেই অধিকাংশের মত।

সুলতানা রাজিয়া সম্প্রতি আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়েছেন। কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য চেষ্টা করছেন কম্পিউটারবিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি সব মিলিয়ে ৬.৫ স্কোর পেয়েছি। কিন্তু আমার রিডিং স্কোরটা ভালো হয়নি। রিটেকের সুযোগ নিয়ে আবারও পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভাবছি। প্রথমে ভেবেছিলাম আবারও পুরো পরীক্ষা দিতে হবে। এখন জানতে পারছি, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে রিটেক সুবিধা চালু হয়েছে। সেই সুযোগই কাজে লাগাব।’

আইএলটিএস পরীক্ষার বিভিন্ন মডিউল

আইইএলটিএস পরীক্ষার স্কোর উচ্চশিক্ষা কিংবা অভিবাসনের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দুই ধরনের পরীক্ষা হয়—একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য একাডেমিক মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। কোনো কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হলে সাধারণত জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। আইইএলটিএস পরীক্ষায় দুই ধরনের মডিউলেই চারটি অংশ থাকে—লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং। পেপার বেইজড (কাগজে-কলমে পরীক্ষা) ও কম্পিউটার বেইজড (নির্ধারিত সেন্টারে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটারে পরীক্ষা)—দুটির মধ্যে যেকোনো একটি ধরন আপনি বেছে নিতে পারেন।

রিটেকের সুযোগ

প্রথমবার পরীক্ষা দেওয়ার পরে কোনো মডিউলে কম স্কোর এলে রিটেকের সুযোগ কাজে লাগানো যাবে। বলা হচ্ছে, কম্পিউটার টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ৬০ দিনের মধ্যে রিটেকের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। আবেদন করতে হবে আইইএলটিএস টেস্ট টেকার পোর্টালের মাধ্যমে। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসেফিকের শিক্ষক ও আইইএলটিএস প্রশিক্ষক সাব্বির সরকার বলেন, ‘অনেক দেশে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএসের বিভিন্ন মডিউলের জন্য নির্দিষ্ট স্কোর চাওয়া হয়। যেমন রাইটিংয়ে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭.০-এর চেয়ে কম স্কোর গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ যদি আগে ৬.৫ পায়, তাহলে আগে পুরো পরীক্ষা আবার দিতে হতো। এখন কম্পিউটার স্কিল টেস্টে পুরো পরীক্ষা দিতে হবে না। এটা একটা ভালো দিক।’
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এখন ২২ হাজার ৫০০ টাকা। রিটেক পরীক্ষার জন্য আলাদা করে ফি দিতে হবে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ধীরে ধীরে সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ই রিটেক স্কোর গ্রহণ করবে। তবে সনদে আগের স্কোরেরও উল্লেখ থাকবে। রিটেক দিয়ে আপনি যদি আগের চেয়েও কম পান, তাহলে আগের স্কোরই গ্রহণযোগ্য হবে।
বিস্তারিত দেখুন এখানে