ঘুমকাতুরে বন্ধু হয়তো আপনারও আছে। কিংবা আপনি নিজেই হয়তো একজন ‘ঘুমভক্ত’। আদতে আপনি কতটা ঘুমকাতুরে, সেটাই জেনে নিন এই ৮ প্রশ্নে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য আছে তিনটি করে উত্তর। উত্তর ‘ক’ হলে পাবেন ৩ নম্বর, ‘খ’ হলে ৪ আর ‘গ’ হলে ৫ নম্বর। মোট নম্বর হিসাব করে মিলিয়ে নিন ফলাফল। তবে এই কুইজের সঙ্গে কিন্তু বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই। একে স্রেফ একটা খেলা বলে ধরে নিতে পারেন।
ক. জীবনের প্রয়োজন
খ. নির্বিঘ্ন, নিশ্চিন্ত সময়যাপন
গ. ঘুমই জ্ঞান, ঘুমই ধ্যান, ঘুমই স্বর্গসুখ
ক. অ্যালার্মে ঘুম ভাঙে, এরপর ধীরে সুস্থে বিছানা ছাড়েন
খ. অ্যালার্মে ঘুম ভাঙে ঠিকই, কিন্তু অ্যালার্মকে ঘুম পাড়িয়ে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়েন
গ. আপনি অ্যালার্ম শুনতেই পান না। একসময় আপনার অ্যালার্মের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে অন্য কেউ আপনাকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে তোলেন
ক. কেন ডাকছে?
খ. এখনই ডাকতে হলো!
গ. যে কারণেই ডাকুক, আমি উঠব না
ক. ধুর, দেরি হয়ে গেল
খ. কেন যে এত জলদি উঠে পড়তে হয় সব সময়
গ. দেরি তো হয়েই গেল। আচ্ছা, আরেকটু ঘুমাই
ক. অল্প কয়েকটা দিন ঘুমের একটু ব্যাঘাত ঘটলে ক্ষতি নেই
খ. দ্রুত পড়া শেষ করে ভালোভাবে ঘুমাতে হবে
গ. ঘুমই তো প্রস্তুতির মূল অংশ!
ক. চা-কফি খেয়ে, চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে ঘুম তাড়াতে চেষ্টা করেন
খ. ডেস্কে মাথা রেখে বা চেয়ারে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকেন
গ. ঘুমিয়ে পড়েন
ক. আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটান
খ. বাড়িতে টুকটাক শখের কাজ করেন, আবার ঘুম এলেই ঘুমিয়েও পড়েন
গ. ঘুমিয়েই কাটান; এমনকি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে বলে কোথাও যেতেও আপনার অনীহা
ক. আরামদায়ক পরিবেশ
খ. বিছানা-বালিশ থাকলেই চলে
গ. কিছুই প্রয়োজন হয় না। কারণ, আপনি যখন-তখন, যেখানে-সেখানে, যেকোনো ভঙ্গিতে ঘুমাতে পারেন
আপনার মোট নম্বর যদি হয় ৩০-এর কম, তাহলে ধরে নেওয়া যায়, আপনি ঘুমকাতুরে নন।
আপনার নম্বর যদি ৩০ থেকে ৩৭-এর মধ্যে হয়, তাহলে আপনি মোটামুটি ঘুমকাতুরে। ঘুমাতে ভালোবাসলেও আপনার এই ভালোবাসায় একটু ‘খাদ’ আছে।
আপনার নম্বর যদি ৩৭-এর বেশি, তাহলে আপনি একজন প্রকৃত ঘুমকাতুরে মানুষ। আপনাকে ঘুম ঘুম অভিবাদন!