শ্রবণ, বাক্‌ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য মুরাদদের উদ্যোগ

এডুঅ্যাসিস্ট নামের উদ্যোগটি এই তরুণদের
ছবি: সংগৃহীত

এডুকেশনের ‘এডু’ আর সহায়কের ইংরেজি ‘অ্যাসিস্ট’কে এক করে ‘এডুঅ্যাসিস্ট’। ডিজিটাল পঠন-পাঠনের মাধ্যমে শ্রবণ, বাক্‌ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য একটি স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে চায় এই স্টার্টআপ। এ বছর বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টে (বিগ) নিজেদের এই স্টার্টআপের ভাবনাটাই উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তি বিভাগের তিন শিক্ষার্থী মুরাদ হাসান, কে এম বদরুদ্দোজা ও আয়মান আসিফ। আর তাতেই বাজিমাত। স্নাতক পর্যায়ের একমাত্র দল হিসেবে সেরা দশে জায়গা করে নেয় তারা। পুরস্কার হিসেবে পায় ১০ লাখ টাকা অনুদান আর ছয় মাসের কাজের জায়গা।

‘বিগ’–এর প্রতিটি ধাপ ছিল প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ২৮ মার্চ শুরু হয়ে যা চলে ১৭ জুন পর্যন্ত। এ সময় মোট পাঁচটি ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করেছেন প্রতিযোগীরা। প্রাথমিকভাবে অনলাইন পিচিং রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয় ২২৪টি স্টার্টআপ। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ১০৩টি স্টার্টআপকে পাঠানো হয় যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বুটক্যাম্পে। জাজিং রাউন্ড শেষে টিকে থাকে ৫২টি স্টার্টআপ।

দলনেতা মুরাদ হাসান বলেন, ‘বিগ ২০২৩ বাংলাদেশের উদ্যোগগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে স্নাতক পর্যায় থেকে বিজয়ী হওয়াটা অনেকটা স্বপ্নের মতো।’

প্রায় চার বছর ধরে এডুঅ্যাসিস্ট প্রকল্পের সঙ্গে আছেন শিক্ষার্থীরা। একই সময় জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক আসরেও ছিল তাদের সরব উপস্থিতি। মুজিব ১০০ আইডিয়া কনটেস্টে সেরা ১০০ আইডিয়ার একটি তাঁদের, ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২২–এ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছেন ইনোভেটর অ্যাওয়ার্ড, রুয়েট সিএসই ফেস্ট ২০২২–এ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রজেক্ট শোকেসিংয়ে দ্বিতীয় রানার্সআপ হয় টিম এডুঅ্যাসিস্ট।

এডুঅ্যাসিস্টের আরেক সদস্য কে এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘একই সঙ্গে শ্রবণ, বাক্‌ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে একীভূত শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং ডিজিটালাইজেশন নিয়ে চিন্তা করছি। আগের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভালো অবস্থান ভরসা জুগিয়েছিল।’

বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলামের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, বললেন দলনেতা মুরাদ। ‘এডুঅ্যাসিস্ট টিমকে স্যার আলাদাভাবে সময় দিয়েছেন। আমাদের যেভাবে কাউন্সেলিং করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, নিজেদের বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন, তা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে। এ ছাড়া অন্য শিক্ষকেরাও শুরু থেকে পাশে ছিলেন,’ বলেন তিনি। প্রকল্প নিয়ে এই তিন শিক্ষার্থীর সামনে আরও কাজ করার পরিকল্পনা আছে।