বিজ্ঞাপন বার্তা: হাতিল কিচেন কেবিন

ইরেশ যাকেরের রান্না করা খাবারটা কি প্রজাপতির মতো হলো?

‘হাতিল কিচেন কেবিন’ অনুষ্ঠানের অতিথি ইরেশ যাকের (ডানে) ও উপস্থাপক নীল হুরেজাহান (বাঁয়ে)
ছবি: ভিডিও থেকে

আমরা যেন ধরে নিয়েছি, রান্নাঘর শুধু নারীই সামলাবেন। আর পুরুষের সঙ্গে রান্নাঘরের বুঝি যোজন যোজন দূরত্ব! কথাটা বহুলাংশে সত্য। তবু অনেক পুরুষই আছেন, যাঁরা মা বা স্ত্রীকে সহযোগিতার খাতিরে হোক কিংবা শখের বশে—সময়–সুযোগ পেলেই ঢুঁ মারেন হেঁশেলে।

তেমনই একজন ইরেশ যাকের। অভিনেতা হিসেবে তাঁর সুনাম জনে জনে। কিন্তু রাঁধুনি হিসেবে ইরেশ কেমন? সেটারই প্রমাণ পাওয়া গেল ‘হাতিল কিচেন কেবিন’নামের অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠান একযোগে প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম, প্রথম আলো ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থাপক নীল হুরেজাহান জানতে চান, ‘কেমন লাগছে রান্নাঘরটা?’

ইরেশ যাকেরের এককথায় উত্তর, ‘অসাধারণ’। তাঁর মতে, বেশির ভাগ বাসায় কিচেনের লে–আউটটা এত সুন্দর হয় না। কিন্তু হাতিলের এই কিচেন একই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন ও কার্যকর। কথা প্রসঙ্গে এই অভিনেতা জানান, তাঁর প্রথম অ্যাপার্টমেন্টের সব ফার্নিচার ছিল হাতিল ব্র্যান্ডের। কারণ, রুচিশীল ডিজাইনের সঙ্গে হাতিল ফার্নিচারের দামও হাতের নাগালে।

গল্প করতে করতেই ইরেশ ও নীল রান্নার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ‘ক্রিসপি বাটারফ্লাই প্রন’ তৈরির রেসিপিটি জানিয়ে নীলের প্রশ্ন, ‘বাসায় কি রান্নাবান্না করা হয়?’

ইরেশ যাকের রেঁধেছেন ‘ক্রিসপি বাটারফ্লাই প্রন’

‘আমি সময় পেলেই রান্না করি।’ ঝটপট উত্তর দেন ইরেশ। মাঝেমধ্যে খলচরিত্রে অভিনয় করা ইরেশ যাকের এরপর হাসিমুখে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রাখেন, ‘এই রেসিপির নামের সঙ্গে মিলিয়ে রান্নাটিও কিন্তু বাটারফ্লাইয়ের মতো হওয়া চাই!’

হাতিলের কিচেনটা এতই পছন্দ হয় ইরেশ যাকেরের, ভবিষ্যতে কাছের কারও বিয়েতে হাতিলের তৈরি কিচেনটা উপহার দেবেন—এ রকম প্রতিজ্ঞাও করে ফেলেন তিনি। এ কথা শুনে নীল হুরেজাহান বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালো রাখতে হবে। তাহলে হাতিলের কিচেনটা উপহার পাওয়ার সুযোগ আছে।’

এরপর দুজন বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে শুরু করেন ‘ক্রিসপি বাটারফ্লাই প্রন’ রান্না। উপস্থাপক রান্নার উপকরণগুলো প্রস্তুত করতে থাকেন আর ইরেশ যাকের চোখ বোলাতে থাকেন সুদৃশ্য রান্নাঘরের চারপাশটায়।

রান্না করতে করতেই ইরেশ জানান, ঘুরতে খুব ভালো লাগে তাঁর। সময় পেলেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হন। ইরেশ বলেন, ‘আমি এতবার নেপালে বেড়াতে গেছি, দেশটাকে এখন আমার গ্রামের বাড়ির মতোই মনে হয়!’

রান্নাবান্না শেষে পোজ দেওয়ার পালা

এমন নানা বিষয়ে গল্প করতে করতেই তৈরি হয়ে যায় ক্রিসপি বাটারফ্লাই প্রন। ইরেশ যাকেরের পছন্দের নীল রঙের প্লেটে পরিবেশন করা হয় সদ্য রান্না করা মুচমুচে খাবারটি। প্লেটে খাবার সাজাতে সাজাতে উপস্থাপক নীল জানতে চান, ‘খাবারটা কি প্রজাপতির মতো হয়েছে?’

কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেন ইরেশ, ‘মনে মনে ভাবলে হয়তো প্রজাপতির মতো মনে হবে…।’

এরপর নিজেদের রান্না করা ক্রিসপি বাটারফ্লাই প্রন খেতে খেতে দুজনই আবার শুরু করেন খাবারের স্বাদ নিয়ে কথাবার্তা আর জীবনের নানা গল্প।