আজ লিওনেল মেসির জন্মদিন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন, নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ফুটবলের সম্ভাব্য সব অর্জন। এই মহাতারকা জীবন নিয়ে কী ভাবেন? ফুটবলের ব্যস্ত সময়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য আনেন কীভাবে?
আর্জেন্টিনার একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন, ‘আমি সাধারণ জীবনযাপনের মাধ্যমে ফুটবল আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা করি। বাইরে ঘুরতে যাই। জীবনটাকে উপভোগ করি। আর সবার মতোই বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই।ফুটবল ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখলেও ফুটবল খেলাটা যে তাঁর জীবনের অংশ, সেটা জানাতে ভোলেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা, ‘সব সময় ফুটবল খেলাটা উপভোগ করি। ফুটবলটাই বোধ হয় আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। যত দিন সম্ভব খেলাটা খেলে যেতে চাই।’মেসি জানিয়েছেন, সাফল্য নিয়ে তিনি খুব একটা ভাবেন না, ‘সাফল্য নিয়ে খুব একটা মেতে থাকি না। আমি মনে করি, ফুটবল ছাড়াও জীবনে অনেক কিছুই আছে।’ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তাঁর আজীবনের তুলনা। দুই আর্জেন্টাইন গ্রেটের খেলায় কত মিল, সেটা নিয়েও এন্তার গবেষণা। তবে মেসি জানিয়েছেন, ব্যাপারটা মোটেও কাকতালীয় কিছু নয়, ‘আমি কোনো দিনই কাউকে অনুকরণ করিনি। ১৯৯৩ সালের দিকে আমি যখন সত্যিকার অর্থেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছি, তখন নিওয়েল ওল্ড বয়েজে স্পেন থেকে এসে যোগ দিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সে সেময় আর্জেন্টিনা ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরেছে। আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে কেউ যদি আমাকে অনুপ্রাণিত করে থাকেন, তিনি হচ্ছেন ম্যারাডোনা।’অন্যের আনন্দের জন্যই তাঁর ফুটবল খেলা। খেলোয়াড় হিসেবে এই পৃথিবীটার জন্যও কিছু করে যেতে চান তিনি, ‘অনেক পেশাদার আছেন, যাঁরা মানুষের জীবন রক্ষায় ব্রতী। তাঁরা অনেক কিছুই সৃষ্টি করেন, যার মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষ সুন্দরভাবে জীবন ধারণ করতে পারে। আমি ফুটবল খেলি তো মানুষের আনন্দের জন্যই।’তবে হার মানতে নারাজ মেসি। ২০১৫ সালে ক্রীড়া সাংবাদিক টম ওয়াটের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘পরাজয়; সেটা যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন, আমি মানতে পারি না। মাঠে সব সময় উজ্জীবিত থাকি। এখন মনে হয়, ছোটবেলায় আমরা যখন রাস্তায় ফুটবল খেলতাম, তখন ভাই-কাজিনরা মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করে হেরে যেত। তারা আমাকে জিতিয়ে দিত, কারণ জানত, আমি হেরে গেলে তাঁদের কপালে দুঃখ আছে।’