ছোটবেলায় হাতের লেখা ভালো করার জন্য কসরত কে না করেছি! অনেকেই মার পর্যন্ত খেয়েছি খারাপ হাতের লেখার জন্য। এমনকি পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ারও কারণ এই হাতের লেখা। আবার ভালো হাতের লেখার জন্য প্রশংসা থেকে শুরু করে আরও কত কিছুই–না হয়। তবে এসব তো লাভ–ক্ষতির হিসাব। এর বাইরেও হাতের লেখার আছে গূঢ় তাৎপর্য। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের হাতের লেখায় লুকিয়ে থাকে পাঁচ হাজার আলাদা আলাদা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ইঙ্গিত। তাই আসুন, হাতের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে নিন আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য...
আপনি কি জানেন, বড় হাতের লেখা আপনার বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে? অন্য দিকে ছোট হাতের লেখা লাজুক ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। কিন্তু আপনার হাতের লেখা যদি মাঝারি আকারের হয়, তাহলে আপনি যেকোনো কাজে খুব সহজে মনোযোগী হতে পারেন।
লেখায় প্রতি শব্দের মাঝখানে যদি বেশ খানিকটা ফাঁকা স্থান রেখে দেন, তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি বেশ স্বাধীনচেতা। আর লেখার মাঝখানে যদি ফাঁকা স্থান খুব কম রাখেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি অতটা স্বাধীনচেতা নন এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে বেশি পছন্দ করেন।
আপনি যদি কলমে খুব চাপ দিয়ে লেখায় অভ্যস্ত হন, তাহলে তার অর্থ, আপনি বেশ রাগী। আর আপনি যদি কলমে খুব বেশি ভর দিয়ে না লেখেন, তাহলে আপনি নরম মনের মানুষ এবং আপনার ব্যক্তিত্ব সহজ।
আপনার স্বাক্ষর যদি সহজ ও স্পষ্ট হয়, তাহলে বুঝে নিন আপনি বেশ আত্মনির্ভরশীল। আর আপনার স্বাক্ষর যদি খুবই জটিল কিংবা অস্পষ্ট হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনিও আপনার স্বাক্ষরের মতো বেশ জটিল।
আপনার হাতে লেখা যদি ডান দিকে হেলানো থাকে, তাহলে আপনি নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এবং উদ্যমী। আর আপনার হাতে লেখা যদি বাঁ দিকে হেলানো থাকে, তাহলে আপনি বেশ অন্তর্মুখী, চ্যালেঞ্জ নিতে খুব বেশি পছন্দ করেন না।
আপনার হাতের লেখা যদি তীক্ষ্ণ হয়, তাহলে আপনি বেশ বুদ্ধিমান। কিন্তু যদি আপনার হাতের লেখা গোলাকার হয়, তাহলে আপনি বেশ শৈল্পিক স্বভাবের মেধাবী ও সৃষ্টিশীল।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট