আগের রাতে ভালো ঘুম হয়নি, ঘুমে চোখ ঢুলুঢুলু, তারপরও জেগে থেকে কাজ করতে হচ্ছে? এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু আমরা অনেকেই পড়ি। বিশেষ করে ছুটির দিনের পরের দিনে। কিংবা রাতের ভ্রমণ শেষে পরদিন সকালে অফিস বা ক্লাসে যেতে হলে তো এমন অভিজ্ঞতা অবধারিত। চোখে ঘুম থাকলেও অফিস কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো ষোলো আনাই চাইবে আপনার কাছে। তাই জেনে নিন যে পাঁচ উপায়ে ঘুম ঘুম লাগলেও জেগে থাকা যায়।
উচ্চ বিটের গান শোনা
এমন কিছু গান বাছাই করুন, যা প্রতি মিনিটে ১০০ থেকে ১৩০টি উচ্চ বিট সৃষ্টি করে। তবে গানের বিট যেন এত বেশি না হয়, যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উল্টো দিকে মিনিটে ৬০টি বা এর চেয়ে কম বিটের গান আমাদের চোখে ঘুম এনে দেয়। তাই শোনার জন্য কী ধরনের গান নির্বাচন করছেন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
উজ্জ্বল আলোয় থাকা
উজ্জ্বল আলো আমাদের চোখে থেকে ঘুম তাড়ায়। তাই জানালার পর্দা সরিয়ে ঘরের আলো ঢুকতে দিন। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে দিনেও ঘরের বাতি জ্বালান। চেষ্টা করুন আলোর ঔজ্জ্বল্য সর্বোচ্চ মাত্রায় নিতে। কিংবা যেখানে বসে কাজ করবেন, সে জায়গায় আলোর স্বতঃস্ফূর্ত সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়া
শরীরে পানিশূন্যতা ঘুম ঘুম ভাবকে ত্বরান্বিত করে। হার্ভার্ড হেলথ বলছে, ঠিকমতো পানি পান আপনার ঘুম ঘুম ভাব দূর করতে সাহায্য করে। তার মানে এই নয় যে শুধুই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পানি ছাড়া আরও অনেক ধরনের পানীয় আছে, যা শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে পারে। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বা চা–কফি এ ক্ষেত্রে হতে পারে দারুণ সমাধান।
ব্যায়াম করা
এমন কিছু ব্যায়াম আছে, যা আপনার শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ ত্বরান্বিত করে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন আপনার শরীরের প্রবেশ করে কিছু হরমোনের নিঃসরণ করে শরীরকে চাঙা করে তোলে।
মন ভালো রাখা
বিষণ্নতা আর একঘেয়েমি—দুটোই শরীর ও মনকে ক্লান্ত করে ফেলে। ফলে ঘুম ঘুম ভাব আসে দ্রুত। তাই একঘেয়েমি কাটাতে নতুন কিছু করুন। আপনার আগ্রহের বিষয় নিয়ে একটা লেখা পড়ে ফেলতে পারেন। কিংবা একটানা কাজ না করে আশপাশের কারও সঙ্গে একটু খোশগল্প করুন। অর্থাৎ রুটিনমাফিক কাজে একটু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটান। এতে ক্লান্তি–অবসাদ থেকে দূরে থাকতে পারবেন, ঘুম ঘুম ভাবও কেটে যাবে।
তবে শেষের আগে কিছু কথা। ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে কাজ করা মোটেও ভালো কিছু নয়। হঠাৎ দু–এক দিন এমনটা হলে সমস্যা নেই, ঘন ঘন হলেই বিপদ। বিশেষ করে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে গাড়ি চালানো বা ভ্রমণ এড়ানো ভালো।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট