সব্যসাচীর লেহেঙ্গা, গয়না আর জিরো মেকআপে ঝাউবনে বিয়ে সারেন স্পর্শিয়া

অর্চিতা স্পর্শিয়ার ইচ্ছা ছিল বিয়ে করবেন পাহাড় আর সমুদ্রকে সাক্ষী রেখে। তাই কক্সবাজারের ইনানী সৈকতকেই বেছে নিয়েছিলেন। পাহাড় আর সাগরের মাঝখানের ঝাউবনে হয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এই ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’–এ অংশ নেন দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য আর বর–কনের কাছের বন্ধুরা। সব মিলিয়ে ১৫০ জন। সেদিন ছিল বসন্তের প্রথম দিন আর ভালোবাসা দিবস। নতুন জীবনে পা রাখতে তাই এ দিনটিই বেছে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। বর সৈয়দ রিফাত নাওঈদ হোসেন। সিলেটের ছেলে। পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্য থেকে। এখন একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে কাজ করছেন। বিয়ের আর মেহেদির ছবিগুলো দেখতে দেখতে জেনে নেওয়া যাক এই দুই সাজের পেছনের গল্প।

বলিউড তারকাদের বিয়ে মানেই যেন সব্যসাচীর শাড়ি অথবা লেহেঙ্গা। বিয়ের জন্য ভারতের তথা বিশ্বের নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনারদের একজন সব্যসাচী মুখার্জির লাল লেহেঙ্গা বেছে নিয়েছিলেন স্পর্শিয়াও। উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্যা সিনহা মিমও বিয়েতে সব্যসাচীর লেহেঙ্গা পরেছিলেন। বিয়ের ছবি তুলেছে লা ইভেন্তো বাই কাজী আরেফিন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
সঙ্গে ছিল প্রবাল থিমের সবুজ পাথরের গয়না। গলার সেটটিও সব্যসাচী মুখার্জির নকশা করা। তবে কানের দুল, হাতের বালা আর আংটি নিজের পছন্দমতো করে করে বানিয়ে নিয়েছেন। সমুদ্রের পাশে বিয়ে করছেন বলে এই গয়না বেছে নেন। লেহেঙ্গার সঙ্গে আলগা যে ওড়নাটা নিয়েছেন, সেটি স্পর্শিয়ার মায়ের বিয়ের শাড়ি থেকে বানানো
বিয়েতে অনেক তারকারাই লাল রং এখন আর পরছেন না। কেন লাল বেছে নিলেন? স্পর্শিয়া বলেন, ‘বাঙালি কনের বিয়ের সঙ্গে লাল রং ঐতিহ্যগতভাবে জড়িত। আমি সেই প্রথাই অনুসরণ করেছি। তবে মেকআপ খুবই হালকা রাখতে চেয়েছি। ব্যক্তিগতভাবেও আমার মেকআপ পছন্দ না। তাই মুখে কেবল সানস্ক্রিন ছাড়া আর কিছু ব্যবহার করিনি। জিরো মেকআপে বিয়ে করেছি’
স্পর্শিয়া বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রায় এক বছর সময় পেয়েছিলেন। এর ভেতরেই সব কিছু গুছিয়েছেন
বিয়ের আগে হয়েছে মেহেদির আনুষ্ঠানিকতা
হাত ভরে মেহেদি দিতে সময় লেগেছিল ৯ ঘণ্টা। মেহেদি নিয়েছেন নেহা’স মেহেদি ডিজাইন থেকে
মেহেদির সুতির ফুলেল নকশার বডিকন পোশাকটি তৈরি করে দিয়েছেন স্পর্শিয়ার ‘ড্রেস ম্যান’ মুনির
সঙ্গে ছিল পলাশ ফুলের মুকুট। মেহেদির আয়োজনেও কোনো মেকআপ ছিল না স্পর্শিয়ার
স্পর্শিয়া জানান, পারিবারিকভাবে তাঁর জন্য ছেলে পছন্দ করা হয়েছিল। এরপর বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। তারপরই প্রেম ও ভালোবাসা হয় এই জুটির। ফলে এক বছর পর যখন বিয়ে করলেন, সেটা ‘অ্যারেঞ্জনড কাম লাভ’ ম্যারেজ