আর কত বিব্রত হব

কত-না বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হই আমরা
ছবি: সংগৃহীত

‘আরে, কী খবর! কেমন আছেন?’

পেছন থেকে কাঁধ চাপড়ে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি মুখ ঘুরিয়ে তাকালেন। সঙ্গে সঙ্গে চুপসে গেলেন প্রশ্নকর্তা। যাকে ভেবে এমন উচ্ছ্বসিত জিজ্ঞাসা, তিনি সে নন। বরং একেবারেই অপরিচিত কেউ। ‘দুঃখিত, আমি ভেবেছি...,’ কথা শেষ না করে বিব্রত ভঙ্গিতে স্থান ত্যাগ করলেন ভদ্রলোক।

জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান। চারপাশে মানুষের কৌতূহলী ভিড়। পরিচিত সবার গায়েই পরিপাটি পোশাক। আপনার গায়েও। এরই মধ্যে চেয়ার ছেড়ে উঠতে গিয়ে হুট করে ছিঁড়ে গেল একপাশ। ছেঁড়া অংশ মুখ হাঁ করে রইল। কিংবা খেতে বসে তরকারির টকটকে ঝোল লেগে বিচ্ছিরি মানচিত্র হয়ে গেল সাদা জামা। অস্বস্তিতে কান লাল হয়ে গেল।

কোনো গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে, পরিচিত আড্ডায়, সভা-সেমিনারে, গম্ভীর আলোচনায় দুম করে সশব্দে হয়ে গেল বাতকর্ম। চেষ্টা করেও চাপতে পারেননি। সবাই তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। হাসছে মুখ টিপে। আপনি চোখ তুলে তাকাতে পর্যন্ত পারছেন না। কেবলই মনে হচ্ছে-ধরণি দ্বিধা হও!

এমন কত-না বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হই আমরা। বোন ভেবে বোনের ননদকে কিংবা বউ ভেবে বউয়ের বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরা, দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পরও পুরোনো পরিচিত কারও নাম মনে করতে না পারা-তালিকার যেন শেষ নেই।

আজ ১৮ মার্চ, বিব্রতকর মুহূর্ত দিবস (অকার্ড মোমেন্টস ডে)। ঠিক কবে এবং কার হাত ধরে দিবসটির চল হয়েছে, নির্দিষ্ট করে জানা যায় না। ২০০৫ সালে অকার্ড টার্টলের (বিব্রতকর অবস্থা বোঝাতে হাত দিয়ে একধরনের ইশারা করা) ধারণা চালু হয়। দিবসটি প্রচলনের ক্ষেত্রে এই ধারণার একটি ভূমিকা আছে বলে মনে করা হয়।

সে যা-ই হোক, আজকের দিনটি কিন্তু পালন করা যেতেই পারে। বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন নিজের জীবনের বিব্রতকর অভিজ্ঞতার কথা। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও চৌকস হওয়া কিংবা নিজের রসবোধ দিয়ে যেকোনো অবস্থাকে হালকা করে ফেলার দক্ষতা অনুশীলন করতে পারেন। প্রচুর হাসার অভ্যাস করুন। প্রাণখোলা হাসি দিয়ে কিন্তু অনেক কিছুই সহজ করে ফেলা যায়।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে