জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সাবেক পরিচালক (উপসচিব) লাবণ্য আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ২৫ অক্টোবর। এ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলামোটরে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় ‘তুমি রবে নীরবে’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
গুণমুগ্ধ প্রিয়জন ও স্বজনদের স্মৃতিচারণায় আলোচনা সভা হয় কেবলই ‘লাবণ্যময়’। আলোচনা সভায় অংশ নেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান, লাবণ্য আহমেদের বাবা নাসির আহমেদ, মা শাহেনশাহ বেগমসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, নাফিস কামাল, সাবরিনা নিপু ও মৌরির রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। কবিতা আবৃত্তি করেন শারমিন লাকী, সাগর সেন, সাবরিনা নিপু ও সাব্বির আহমেদ শুভ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অনন্যা আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, লাবণ্য আহমেদ পেশাগত জীবনে একজন দায়িত্বশীল, দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিজ কর্মক্ষেত্র, গণমাধ্যম এবং তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে সুপরিচিত ছিলেন। সততা ও নিষ্ঠার পাশাপাশি তাঁর মার্জিত আচরণ এবং চমৎকার ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সবার স্নেহ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
লাবণ্য আহমেদ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে। ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখায় যোগ দেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। শহীদ পরিবারের সন্তান লাবণ্য আহমেদের বড় মামা শহীদ শহীদুল্লা কায়সার, মেজ মামা শহীদ জহির রায়হান। তাঁর বাবা বাংলাদেশ আর্মস ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও অস্ত্র প্রশিক্ষক। মা শাহেনশাহ ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য।
তিন ছেলের মা ৫৮ বছর বয়সী লাবণ্য আহমেদ ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ২০১৮ সাল থেকে দুরারোগ্য ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন।