রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব ২০২৩’। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে তাঁদের ভাবনা জানিয়েছেন। এখানে পড়ুন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আবুল কাশেম মিয়ার বক্তব্য।
শুরু থেকেই ভিন্ন ধারা ও স্বতন্ত্র মাত্রায় দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সচেষ্ট আছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। প্রতিটি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সততা বজায় রাখা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। সব সময় আমরা বলি, ইউআইইউ একটি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান। সে কারণেই ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসার জন্য আমরা বাসের ব্যবস্থা রেখেছি। বাড্ডা নতুনবাজার থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে শাটল বাসের ব্যবস্থা আছে।
র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থান
২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে ইউআইইউ। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২৪-এ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তৃতীয় এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। দ্য ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এসডিজি-১ ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পেয়েছে দ্বিতীয় স্থান। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল ফর বিজনেস স্কুলস অ্যান্ড প্রোগ্রামস (এসিবিএসপি) আমাদের বিজনেস স্কুলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া আমাদের বিবিএ ইন এআইএস ডিপার্টমেন্ট ‘সিআইএমএ (সিমা)’ কর্তৃক স্বীকৃত বা অ্যাক্রেডিটেড। ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলকে স্বীকৃতি (অ্যাক্রেডিটেশন) দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ।
গবেষণায় গুরুত্ব
একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে গবেষণা পরিচালনার জন্য প্রতিবছর তিন কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে ইউআইইউ। ইউআইইউর ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ (আইএআর) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চমানের জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশে সহযোগিতা করে। গবেষণাপত্রের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ হাজার ও শিক্ষকদের ৫০ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন (আইরিক) নামে আমাদের আরও একটি গবেষণাকেন্দ্র আছে। গবেষণার সঙ্গে বাণিজ্যের যোগসূত্র তৈরি করে উদ্যোক্তা গড়তে কাজ করে আইরিক। সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মাধ্যমে আমরা ৪৫টি জাতীয় ও ৪৯টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ৮৫টির বেশি গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়নসহ নানা কাজ করেছি। গত তিন বছরে আইএআরের অর্থায়িত প্রকল্পগুলো থেকে আন্তর্জাতিক জার্নালে শতাধিক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নানা অর্জন
ইউআইইউতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমকেও সব সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়। ১৬টি ক্লাব ও ১৫টি ফোরাম ক্যাম্পাসে সক্রিয় আছে। করপোরেট বা সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে ক্লাবগুলো সেমিনার, কর্মশালা, সিম্পোজিয়ামসহ নানা কিছু আয়োজন করছে। ফলে ছাত্রজীবন থেকেই শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গবেষণা, খেলাধুলা, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা বহু পুরস্কার পেয়েছেন। সম্প্রতি ইউআইইউ মার্স রোভার দল যেমন মার্স সোসাইটি আয়োজিত ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ (ইউআরসি) ২০২৩ প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বের ৩৭টি দলের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করেছে। ইউআইইউ ডিবেট ক্লাব এ বছর ‘জাগুক তরুণ, বাঁচুক পরিবেশ’ শীর্ষক জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য এমন আরও বহু অর্জন আছে।