ঈদে মাংস কাটাবাছা, ব্যাগে ভরা, রান্না, ধোয়ামোছা, পরিষ্কার—সব কাজের জন্য হাতই ভরসা। তাই এ সময় হাতের চাই বিশেষ যত্ন। ঈদের আগে কিংবা পরে বাড়িতেই করে নিতে পারেন ম্যানিকিওর। ম্যানিকিওরের মাধ্যমে মৃত কোষ অপসারণ, নখের আকার ঠিক রাখা, হাতের গন্ধ ও কালচে ছোপ দূর করা সম্ভব।
কোরবানির ঈদে কাটা-ধোয়ায় অনেকের নখ ভেঙে যায়, হাতও কেটে যেতে পারে। যাঁদের সারা দিন এসব কাজ করতে হবে, তাঁদের জন্য নখ ছোট করে ফেলাটাই ভালো। ঈদের আগে এই কয়েক দিন প্রতিদিন রাতে হাতে লোশন ব্যবহার করুন। আগে থেকেই যদি হাতের ত্বক ভালো রাখা যায়, তাহলে ঈদের পরও ক্ষতি কম হবে। হাতের ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতা—দুটোই ঠিক থাকবে।
ম্যানিকিওর করার জন্য বাজারে আলাদা সেট কিনতে পাওয়া যায়। বিশেষ ব্রাশ আছে। চাইলে নরম টুথব্রাশ দিয়েও করা যাবে। বাফার, নখ পরিষ্কারের যন্ত্রাদি কাছে নিয়েই বসুন ম্যানিকিওর করতে।
ধাপ ১: বড় গামলায় হাতের কবজি পর্যন্ত ডোবা পানি নিন। পরিমাণমতো শ্যাম্পু গুলে নিন। চাইলে খানিকটা গ্লিসারিন ও সি-সল্ট দিতে পারেন।
ধাপ ২: ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত হাত ডুবিয়ে রাখুন।
ধাপ ৩: নরম ব্রাশ দিয়ে ৫ মিনিট ঘষে ত্বক পরিষ্কার করুন। এবার স্ক্রাবিং। বাজার থেকে কেনা অথবা বাড়িতে বানানো স্ক্রাবার দিয়েও হাত পরিষ্কার করতে পারেন।
ধাপ ৪: কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে, তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
ধাপ ৫: নখে নেইল পলিশ থাকলে রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন। নেইলকাটার দিয়ে চারকোনা, লম্বাটে কিংবা গোলাকৃতি করে নখ কেটে নিন। নেইল ফাইলার দিয়ে নখ ফাইল করে নিন। নখের আকৃতি ঠিক রাখার জন্যই এই ফাইলার। নখের চারপাশের কোনায় ত্বকের কোনো অংশ বেড়ে থাকলে বা ত্বকের মৃত অংশ থাকলে সেটা সাবধানে কেটে ফেলুন।
ধাপ ৬: নখের ওপর কিউটিকল জেল লাগান। কিউটিকল কাটার দিয়ে নখের দুই পাশের মরা চামড়া তুলে ফেলুন। নখের ভেতরের দিকের ময়লা পরিষ্কারের জন্য নেইল স্টিকের ধারালো অংশটি ব্যবহার করুন। চাইলে লেবুর টুকরা দিয়ে নখ ঘষে নিতে পারেন। নখ উজ্জ্বল দেখাবে।
ধাপ ৭: পুরো হাতে ক্রিম লাগান।
ধাপ ৮: নেইল পলিশ লাগাতে পারেন। তবে নেইল পলিশ লাগালে বাফারের ব্যবহার কম করবেন। কারণ, বাফার বেশি ব্যবহার করে নেইল পলিশ লাগালে নখ ক্ষয়ে যেতে পারে।