গরমে প্রসাধনী ভালো রাখবেন যেভাবে

প্রাকৃতিক উপকরণ এবং ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ প্রসাধনী ফ্রিজে না রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

গরমে সাজের মতোই সাজের সামগ্রীরও আলাদা যত্ন দরকার। অনেকেই তাই এই সময়ে প্রসাধনসামগ্রী ফ্রিজে উঠিয়ে রাখেন। কিন্তু সব প্রসাধনীই যে ফ্রিজে ভালো থাকবে, তা কিন্তু নয়। চলুন সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র পারসোনার পরিচালক নুজহাত খানের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক কোন প্রসাধনী ফ্রিজে আর কোনটা বাইরে রাখলে ভালো।

ফ্রিজে রাখতে পারবেন লিপস্টিক

কোনটা ফ্রিজে, কোনটা বাইরে

খুব গরমের সময় তেল বেশি আছে, এমন প্রসাধনী ফ্রিজে রাখতে পারেন। পানি বেশি আছে এমন প্রসাধনী ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই। আর পানি আর তেল দুই-ই আছে, এমন প্রসাধনী ফ্রিজে রাখা যাবে না। অন্যদিকে প্রাকৃতিক উপকরণ এবং ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ প্রসাধনী ফ্রিজে না রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রসাধনী সাধারণত সেখানকার আবহাওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না। তবে কোনো কোনো উপকরণ অধিক উত্তাপে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ রকম হলে অবশ্য সেটি ফ্রিজে রাখার লিখিত নির্দেশনা দেওয়াই থাকে। ফ্রিজে রাখতে পারবেন ময়েশ্চারাইজার, টোনার, শিট মাস্ক, লিপস্টিক, নেলপলিশ, সেরাম, ফেস মিস্ট। ফ্রিজে রাখা উচিত নয় আইশ্যাডো, ব্লাশঅন, লিপবাম, সুগন্ধি।

ফ্রিজে প্রসাধনী রাখার আগে

খাবারের ফ্রিজে প্রসাধনী রাখতে হলে নির্দিষ্ট একটি অংশ আলাদা করে নিন। সম্ভব না হলে আলাদা একটি বাক্সে ঢুকিয়ে রাখুন, যাতে করে এগুলো খাবারের সংস্পর্শে না আসে। ফ্রিজারে প্রসাধন রাখা হলে যে কেবল পণ্যটিই ভালো থাকে, তা নয়। বরং এসব ত্বকে প্রয়োগের সময় দারুণ একটা ঠান্ডা আমেজ পাওয়া যায়। তীব্র গরমে ত্বকের অস্বস্তি দূর হয়, পাওয়া যায় প্রশান্ত শীতলতা। আর যেসব প্রসাধনী ফ্রিজে রাখা যায় না, সেগুলো প্রয়োগের আগে ত্বকে বরফ ঘষে নিয়েও স্বস্তি পেতে পারেন।

প্রসাধনী ভালো থাকবে ফ্রিজে

জেনে রাখা ভালো

সরাসরি রোদ বা আলো পড়ে, এমন জায়গায় প্রসাধনী রাখবেন না।

ডিপফ্রিজ বা ফ্রিজারে প্রসাধনী না রাখাই ভালো। কোনো প্রসাধনীর মোড়কে তেমন নির্দেশনা দেওয়া থাকলেই কেবল সেটি ফ্রিজারে রাখুন।

স্নানঘরে প্রসাধন না রাখাই ভালো। আর রাখতেই যদি হয়, তাহলে বদ্ধ কোনো কেবিনেটে রাখুন।