শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম জানেন তো?

গরমে খানিক স্বস্তি পেতে অনেকেই সহজ সমাধান হিসেবে একাধিকবার গোসল করেন। সাধারণত সেটা দুই থেকে তিনবার। গরমে মাথা ঘেমে সেখানে ধুলা–ময়লা আটকে চুল ময়লা হয় রোজই। স্বাভাবিকভাবে এ সময় শ্যাম্পুর প্রয়োজনও বেশি। তবে সঠিক নিয়মে শ্যাম্পু না করলে হিতে–বিপরীত হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক, সঠিকভাবে শ্যাম্পু করার নিয়মকানুন—

সঠিক নিয়মে শ্যাম্পু না করলে হিতে–বিপরীত হতে পারে

কীভাবে শ্যাম্পু করবেন?

১. প্রথমেই চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বাছাই করতে হবে। আপনার চুল শুষ্ক, তেলতেলে কিংবা মিশ্র ধরনের কী না তা বুঝে নিয়ে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বাছাই করুন।

২. শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন।

৩. এরপর পুরো চুল ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে।

৪. একটি বাটিতে শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে এর ঘনত্ব কমিয়ে নিতে হবে যেন তা চুলের গোড়ায় সহজে পৌঁছাতে পারে।

৫. এরপর দ্বিতীয় দফায় শ্যাম্পু করতে হবে। এবার আর ম্যাসাজ নয়। কারণ, ম্যাসাজের ফলে চুলের গোড়া থেকে সিবাম নামের একধরনের তেল নির্গত হয়, এটি থাকলে আর শ্যাম্পু করে লাভ নেই। তাই চুল শ্যাম্পু করতে হয় দুইবার।

৬. পানি দিয়ে ফেনা ধুয়ে ফেলার পর এবার কন্ডিশনার ব্যবহারের পালা। চুলের আগায় কন্ডিশনার লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। মোটা তোয়ালে জড়িয়ে প্রথমে চুলের পানি নিংড়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা বাতাস বের হয় এমন হেয়ার ড্রায়ার বা ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

যা ভুলগুলো ভুলেও নয়

১. শ্যাম্পু করার আগে অনেকেই চুলে তেল দেন, এতে সমস্যা না থাকলেও ময়লা চুলে তেল দেওয়া যাবে না।

২. চুল ভালো মতো না ভিজিয়ে সরাসরি শ্যাম্পু দেওয়া যাবে না।

৩. জোরে জোরে ঘষে ময়লা পরিষ্কারের চেষ্টা করা ঠিক পদ্ধতি নয়।

৪. কন্ডিশনার গোড়ায় নয়, শুধু আগায় ব্যবহার করতে হবে। এর কাজ চুলকে নরম করা। গোড়ায় এটি লাগালে চুলের গোড়া নরম হয়ে পড়ে যাবে।

৫. চুল ধোয়া শেষে তোয়ালে দিয়ে জোরে জোরে ঘষে মোছা উচিত না।

৬. চুলের পানি শুকানোর জন্য গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চুল ঝাড়া ঠিক নয়।

ভেজা চুল আঁচড়ানো উচিত না। সম্ভব হলে চুল আঁচড়াতে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন।

লেখাটি ২০২১ সালের ১৪ মার্চ প্রকাশিত হয়েছিল। সময়োপযোগীতা বিবেচনায় কিঞ্চিৎ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে পুনঃপ্রকাশিত হলো।

Photo by cottonbro studio from pexels.