ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেও কমছে না ত্বকের রুক্ষতা? জেনে নিন সমাধান

ডাবের পানি ত্বকের পুষ্টি জোগাবে। মডেল : রুনা খান
ছবি : কবির হোসেন

অনেকের ত্বক এতই শুষ্ক যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেও শুষ্কতা দূর হয় না। এ জন্য শীতের বাকি যে কয়েকটি দিন আছে, নিয়মিত বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকের যত্ন নিতে হবে। মুখ, ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ক্রিম দিতে হবে। এ সময়ে রসাল ফল, ডাবের পানি, হালকা টক ফল ত্বকের পুষ্টি জোগাবে।

আরেকটি বিষয় অনেকেরই অজানা। আর তা হলো গোসলে নিয়মিত অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহার। এতে ত্বকের রুক্ষতা আরও বেড়ে যায়। আর মুখের ত্বকে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না।

গোসলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অলিভ অয়েল বা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে হবে।

নিয়মিত যত্নের পরও যাঁদের ত্বকের রুক্ষতা কমে না, তাঁদের জন্য ত্বকবিশেষজ্ঞ ডা. মুনিয়া ফেরদৌসের পরামর্শ, ‘গোসলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অলিভ অয়েল, লোশন বা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে হবে। আর কিছুক্ষণ পরপর ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে। শুধু বাইরে বের হওয়ার আগেই নয়, রান্নাঘরে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগাতে হবে। এই সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই দূর হবে ত্বকের অতিরিক্ত রুক্ষতা।’

ভেষজ উপাদানগুলো ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে।

এ ছাড়া মুখ–হাত ও পায়ের ত্বকে ময়দা, আটা বা বেসনের সঙ্গে মধু বা অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। পরে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেললে মরা ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই ভেষজ উপাদানগুলো ত্বক পরিষ্কার করে ত্বকের রুক্ষভাব দূর করতে সাহায্য করে।

ঠোঁট ফেটে গেলে চামড়া টেনে না ওঠিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।

যাঁদের এটোপিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস নামক চর্মরোগ রয়েছে, তাঁদের ত্বক এমনিতেই খসখসে থাকে। এ ধরনের চর্মরোগের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি, ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন। যাঁদের ত্বক বেশি শুষ্ক, তাঁরা ঠোঁট, হাত, পায়ের কোথাও ফেটে গেলে চামড়া টেনে ওঠাবেন না। এতে ফাটা জায়গার মধ্যে খুব দ্রুত রোগজীবাণু বাসা বাঁধে।