সকালে গুমোট গরম তো বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টিতে কাকভেজা। আগামী কয়েক দিনই হয়তো এমনটা চলবে। রোদ-বৃষ্টির এই খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বকের বিভিন্ন অংশ। তাই ত্বক আর চুলের জন্য প্রয়োজন আলাদা যত্ন এমনটাই জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী ও রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন।
ত্বকের যত্ন
পানি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। প্রতিদিন মুখে ৮ থেকে ১০ বার পানির ঝাপটা দিলে ত্বকের অনেক সমস্যা কমে যাবে।বৃষ্টির পানিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে ফেলুন বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
অনেকে মনে করেন সানস্ক্রিন শুধু রোদের জন্য। এটি ভুল ধারণা। মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
কোনো গয়না পরা অবস্থায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেলে তা শুকিয়ে নিন। রোদ কিংবা বৃষ্টি থেকে ত্বককে বাঁচানোর জন্য সঙ্গে ছাতা রাখুন।
গরমে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ছেন তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের অধিকারীরা। একটু গরমেই ত্বকের তেল বের হয়ে যায়। এর মধ্যে ধুলাবালু আটকে যাচ্ছে। ঘাম হচ্ছে বেশি। যতটা সম্ভব ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। দুই ঘণ্টা পরপর তেলবিহীন টোনার অথবা ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ত্বক তৈলাক্ত হলে গোলাপজলে অল্প গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া স্বাভাবিক ত্বক হলে পরিষ্কার তুলায় টোনার দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।
চুলের যত্ন
আবহাওয়ায় এখন আর্দ্রতা বেশি। তাই চুল সহজে তৈলাক্ত হয়ে পড়ছে। ময়লা ও ঘাম মিশে চুলে চলে আসছে আঠালো ভাব। বৃষ্টিতে অথবা ঘামে ভেজা থাকছে চুলের গোড়া। হতে পারে ছত্রাকের সংক্রমণ। এ সময়ে অনেকের চুল বেশি পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এ কারণে নিয়মিত চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পু করুন। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে আবারও চুল ধুয়ে নিন।
সাজ
বৃষ্টির দিনে সাজতে চাইলে এমনভাবে সাজুন, হুটহাট ভিজে যেন নষ্ট না হয়। বৃষ্টির সময় চারপাশ কিছুটা অন্ধকার থাকে। মন খারাপ করা ভাবও এসে যায়। সাজে তাই একটু সজীবতা আনা যেতে পারে। পানিরোধী প্রসাধনী বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে করে সহজে মেকআপ নষ্ট হয় না। নীল কাজল বা আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন।
পায়ের যত্ন
বৃষ্টির পানিতে অনেকের পায়ের ত্বকে সংক্রমণ দেখা যায়। সংক্রমণ দূর করতে আধা কাপ হলুদের রসের সঙ্গে আধা কাপ নিমপাতার রস মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিলেই ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। এটি নিয়মিত পায়ে লাগাতে হবে। এরপর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সংক্রমণ দূর হবে। এ সময় নিয়মিত পেডিকিউর করুন।