মৌসুমি ফল মানেই গুণাগুণে ভরপুর। চিকিৎসক থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদ—সবাই মৌসুমি ফল খেতে বলেন। ওজন কমানোর প্রশ্নে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে পেঁপে। এ ছাড়া আরও অনেক গুণে গুণান্বিত পেঁপে। পুষ্টিবিদদের কাছে পেঁপের পরিচয় ‘সুপারফুড’ হিসেবে। স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় বরাবরই ওপরের দিকে থাকে পেঁপের নাম। কাঁচা ও পাকা—দুই অবস্থাতেই সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। দুই অবস্থাতেই আমাদের শরীরের রোগবালাই প্রতিরোধে সমান কার্যকর...
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে থাকে মাত্র ৩২ ক্যালরি ও ৭ গ্রাম শর্করা। আরও থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন সিসহ নানা রকম পুষ্টি উপাদান। আর থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার। যে কারণে সামান্য পেঁপে খেলেও পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। কাঁচা পেঁপেও মেদ কমাতে সাহায্য করে।
পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার, যা স্টার্চ তৈরি করতে সাহায্য করে, হজমে সাহায্যকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া পাপাইন এনজাইম হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক।
পেঁপের আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বলে রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে দেহে জমে থাকা সোডিয়াম দূর করতেও সহায়তা করে। যে কারণে হৃদ্রোগের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
পেঁপের বিভিন্ন এনজাইম পেট পরিষ্কার রাখে এবং ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। যে কারণে পেট ঠান্ডা থাকে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আবার অতিরিক্ত পেঁপে খেলে হিতে বিপরীত হয়ে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও বেশ উপকারী পেঁপে। মুখের ব্রণ, র্যাশ, দাগ দূর করতে দারুণ উপকারী পাকা পেঁপে। পেঁপের ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বক সুস্থ রাখে। এর সঙ্গে কাঁচা পেঁপে শরীরের যেকোনো ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গু হলেই কমে যায় প্লাটিলেট। রক্তে এই প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে কাঁচা পেঁপে। পেঁপেপাতার রস রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া