শীতে ছেলেদের ত্বক অনেক রুক্ষ হয়ে যায়, তাই এই সময়ে ফেস ওয়াশ ব্যবহার না করে ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। যাঁরা ক্লিন শেভ করেন, তাঁরা স্পিরিট–জাতীয় আফটার শেভ লোশন ব্যবহার না করে ময়েশ্চারাইজিং আফটার শেভ বাম লাগাতে পারেন। কারণ, এতে ত্বক কম রুক্ষ হবে। মুখে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন আর পুরো শরীরে সপ্তাহে একদিন স্ক্র্যাবার ব্যবহার করুন। শীতের সময় বাইরে বের হওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে সান ব্লক লাগাতে হবে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বেশি ময়েশ্চারাইজার যুক্ত নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এই সময় সাবানের চেয়ে ময়েশ্চারাইজিং শাওয়ার জেল ব্যবহার করা ভালো। ত্বক বেশি শুষ্ক হলে গোসলের আগে পুরো শরীরে অয়েল দিয়ে ম্যাসাজও করে নিতে পারেন। গোসল শেষে ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে নিতে হবে। এতে সারা দিন ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
এই সময় পকেটে সব সময় চ্যাপস্টিক রাখুন। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা শোয়ার আগে অবশ্যই বডি লোশন বা নন স্টিকি বডি অয়েল ব্যবহার করবেন। মাসে ২ বা ১ বার পারলার থেকে পেডিকিওর করানো জরুরি। সঙ্গে যদি ম্যানিকিওর আর ফুল বডি ম্যাসাজ করাতে পারলে ত্বক ফাটা কমবে, রক্ত চলাচলও বাড়বে। এতে শরীর ও মন দুটিই ফিট থাকবে।
এই সময় ছেলেদের মাথায় খুশকির প্রবণতা বাড়ে। তাই রোজ শ্যাম্পু করতে হবে। ড্যানড্রাফ বেশি থাকলে পারলার থেকে ভালো ট্রিটমেন্ট নেওয়াটা জরুরি।এই সময় স্ক্যাল্পে সেরাম বেশি থাকে বলে ছেলেরা কন্ডিশনার বাদ দিতে পারেন। কিন্তু চুলে সেরাম অবশ্যই লাগাতে হবে।
ত্বকের লাবণ্য বাড়াতে ছেলেরাও নিতে পারেন স্টিম বাথ বা সউনা বাথ। এ ছাড়া এ সময় খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ পানি, ফলের জুস, সবজির স্যুপ। শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে। কাঁচা টমেটো, গাজর, বিট খেতে পারলে শীতে ত্বকের অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যাবে।