বয়স হয়ে গেছে ৬১। কিন্তু চেহারায় তাঁর ছাপ নেই। এমনভাবেই বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে রেখেছেন টম ক্রুজ। জেনে নিন কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করছেন ‘মিশন ইম্পসিবল’ তারকা।
তারুণ্য ধরে রাখতে কত কী-ই না করেন চিত্রজগতের তারকারা। এ বাবদে সবচেয়ে খরুচে বোধ হয় হলিউডের বাসিন্দারা। ত্বকের যত্নে দামি প্রসাধনী থেকে শুরু করে প্লাস্টিক সার্জারি—বাদ দেন না কিছুই। দ্বারস্থ হন বোটক্স ইনজেকশন থেকে শুরু করে লেজার চিকিৎসা পর্যন্ত। কিন্তু এ বাবদে একেবারেই ব্যতিক্রম টম ক্রুজ। তিনি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর ভরসা করেন।
আরও অনেক তারকাই অবশ্য প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর ভরসা করেন। আশির দশকের সুপারমডেল সিন্ডি ক্রফোর্ড ব্যবহার করেন দুধ। তাঁর সমসাময়িক অভিনেত্রী টেরি হ্যাচার আরেক কাঠি সরেস। গোসল করেন ওয়াইন দিয়ে। এসব যে টম ক্রুজ কখনো করে দেখেননি, তা বলার উপায় নেই। কারণ, নিত্যনতুন প্রাকৃতিক টোটকা ব্যবহারের প্রতি বেশ আগ্রহী তিনি। সব সময় খোঁজখবর রাখেন, এ জগতে নতুন কী যোগ হলো।
ইদানীং তেমনই এক নতুন টোটকা ব্যবহার করছেন টম ক্রুজ। সেটা দারুণ কাজও দিচ্ছে। জাপানি এই টোটকা একসময় সেখানকার ‘গেইশা’রা ব্যবহার করত। জাপানে গেইশারা আগে মূলত নাচ-গান করে অভিজাতদের মনোরঞ্জন করত। কাজেই তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সে টোটকার খোঁজ টম ক্রুজ পেয়েছেন তাঁর আরেক তারকা বন্ধু ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের থেকে।
তবে এই টোটকা আপনি আদৌ ব্যবহার করবেন কি না, সে নিতান্তই আপনার ব্যাপার। কারণ, তাতে ব্যবহার করা হয় নাইটিঙ্গেল পাখির মল! সেটা দিয়ে বানানো মাস্ক মুখে মাখেন টম ক্রুজ। ত্বকের ময়লা দূর করতে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নাইটিঙ্গেলের মল কাজ করে। সেই সঙ্গে ত্বককে জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করেন আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে লাগে প্রায় ঘণ্টাখানেক।
কেবল অভিনয়ই নয়, সিনেমার সব স্টান্টও নিজেই করেন টম ক্রুজ। তাই তাঁর ব্যস্ততাও থাকে অনেক। অন্য সব কাজের মধ্যেও শরীরচর্চার পাশাপাশি সময় বের করতে হয় স্টান্টের অনুশীলনের জন্যও। তারপরও ঠিকই প্রতিদিন আলাদা করে সময় রাখেন ত্বকের যত্নের জন্য। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, প্রতিদিন মুখে এই বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করতে ঘণ্টাখানেক সময় ব্যয় করেন। আর এভাবেই বুড়িয়ে গিয়েও বয়স বাড়ায় বাঁধ দিয়ে রেখেছেন ‘টপ গান’ তারকা।
তথ্যসূত্র: ফ্যানডমওয়্যার